২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
আতঙ্কে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও

অভিযান যেন ‘আইওয়াশ’ না হয়

-

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এখন দলটির অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের মতো গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। কারণ, সরকার এবার হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানীকে তাদের নিজ নিজ পদ থেকে বহিষ্কার করার পর যুবলীগের দু’জন শীর্ষ সারির নেতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। কারণ, তাদের পরিচালিত ক্লাবে চলত অবৈধ জুয়া খেলা। অভিযোগÑ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ আরো নানা ধরনের অপকর্মের। ছাত্রলীগের উল্লিখিত দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে চাঁদা দাবি।
তাদের গ্রেফতারের পর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা সম্পর্কে নানা অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এরপর কোন নেতা বা কোন সংগঠন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর লক্ষ্যবস্তুÑ সেই আতঙ্কে ভুগছেন ক্ষমতাসীন দলের সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীরা। অনেকে জানতে চাইছেন, অভিযানের জন্য এরই মধ্যে কোনো তালিকা তৈরি হয়েছে কি না। এ দিকে গত পরশু দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘শুধু ছাত্রলীগ বা যুবলীগের নেতারাই নজরদারিতে আছেন তা নয়; মূল দল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া অব্যাহত থাকবে।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অনেক নেতার বরাত দিয়ে কোনো কোনো পত্রিকা জানিয়েছেÑ যেসব নেতার বিরুদ্ধে মাদক কারবার, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে; তাদের অনেকেই এখন ‘নিরাপদ’ অবস্থান নিয়েছেন; খুব বেশি প্রকাশ্যে আসছেন না। কেউ কেউ নিজেদের ঘনিষ্ঠ বড় নেতাদের কাছ থেকে পরিস্থিতি জানা-বোঝার চেষ্টা করছেন।
অস্বীকার করার উপায় নেই, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল টানা তিনবার ক্ষমতায় আসার সময় এর নেতাদের অনেকেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনেক অনিয়ম-বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়েছেন। অনেকেই চাঁদাবাজি, দলবাজি, নিয়োগবাণিজ্য, জনগণের অর্থ লুটপাট, টেন্ডারবাজিসহ আরো নানারকম অপকর্মের জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো শাস্তির বিধান করা হয়নি আজ পর্যন্ত। এ নিয়ে জনমনে সরকারের প্রতি ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টি দানা বেঁধেছে। এ প্রেক্ষাপটে, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর নেয়া ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। অবশ্য সাথে সাথে সংশয়ও প্রকাশ করছে বোধগম্য কারণে। এ ধরনের অভিযান যেন শুধু আইওয়াশ করার জন্য পরিচালিত না হয় এটাই সবার কাম্য। মনে রাখতে হবে, নানাভাবে বিপুল নেতাকর্মী ক্ষমতাসীন দলটির ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফতুল্লা ৮৩০ গার্মেন্টেস শ্রমিক বিরুদ্ধে মামলা শ্রীনগরে ২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ টানা চতুর্থবার কমলো স্বর্ণের দাম দেশের রাজনীতি ঠিক নেই বলেই অর্থনীতির ভয়ঙ্কর অবস্থা : সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন বগুড়ায় ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ৫ সোনারগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় নেপালের পানিবিদ্যুৎ কিনছে ভারত, বাংলাদেশের অগ্রগতি কতটুকু? ‘নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে বিএনপি থেকে চিরতরে বহিষ্কার’ ইউক্রেনের জন্য ৬ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের বগুড়ার শেরপুর প্রেসক্লাবের পুন: সভাপতি নিমাই-সম্পাদক মান্নান হিট স্ট্রোকে পাইকগাছার ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যু

সকল