০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভূ-উপরিস্থ পানির অভাব

নির্বিচার ব্যবহারই কারণ

-

দৈনিক নয়া দিগন্তের বেড়া (পাবনা) সংবাদদাতা জানান, চলতি বোরো মৌসুমে উত্তরাঞ্চলে ভূ-উপরিস্থ সেচের পানির মারাত্মক সঙ্কট। এ অঞ্চলের শতাধিক নদী, শাখা-প্রশাখা ও সহস্রাধিক বিল শুকিয়ে যাওয়ায় ভূ-উপরিস্থ পানির উৎস হারিয়ে যেতে বসেছে। উজান থেকে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় বাংলাদেশের নদ-নদীর প্রবাহ কমে গেছে। সে কারণে ভূ-গর্ভস্থ পানি নেমে গেছে। শুধু সেচের পানির অভাবে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় প্রায় সাড়ে ১২ লাখ হেক্টর এক ফসলি জমি তিন ফসলিতে রূপান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজশাহী ও রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, সেচের পানির অভাবে পাবনার আবাদযোগ্য জমির এক লাখ ৯০ হাজার হেক্টর হলেও সেচের আওতায় ৫৬ হাজার হেক্টর, সিরাজগঞ্জে এক লাখ ৯১ হাজার হেক্টরে সেচের আওতায় এসেছে এক লাখ হেক্টর। রাজশাহী জেলার এক লাখ ৭৭ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে সেচের আওতায় ৮৭ হাজার হেক্টর। নওগাঁ জেলায় আবাদযোগ্য দুই লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে সেচের আওতায় এক লাখ ৬০ হাজার হেক্টর। চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক লাখ ২২ হাজার হেক্টরের মধ্যে সেচের আওতায় মাত্র ৩৫ হাজার হেক্টর। নাটোর জেলায় এক লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে আওতায় এসেছে ৬৮ হাজার হেক্টর। বগুড়ায় দুই লাখ ৩১ হাজার হেক্টরের মধ্যে সেচের আওতায় এসেছে দুই লাখ হেক্টর। রংপুর কৃষি বিভাগের জয়পুরহাট জেলার ৮৪ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে সেচের আওতায় ৭০ হাজার হেক্টর। গাইবান্ধায় এক লাখ ৫৯ হাজার হেক্টরের মধ্যে সেচের আওতায় এসেছে ৯০ হাজার হেক্টর। রংপুর জেলার এক লাখ ৬৭ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে সেচের আওতায় এসেছে এক লাখ হেক্টর। নীলফামারী জেলার এক লাখ ২২ হাজার হেক্টরের মধ্যে সেচের আওতায় এসেছে ৫৫ হাজার হেক্টর। লালমনিরহাটের ৯৫ হাজার হেক্টরের মধ্যে সেচের আওতায় এসেছে ৪৪ হাজার হেক্টর। কুড়িগ্রামের এক লাখ ৬৭ হাজার হেক্টরের মধ্যে সেচের আওতায় এসেছে মাত্র ৬৭ হাজার হেক্টর। দিনাজপুর জেলার দুই লাখ ৮৭ হাজার হেক্টরের মধ্যে সেচের আওতায় এসেছে এক লাখ ৬২ হাজার হেক্টর। ঠাকুরগাঁওয়ের এক লাখ ২৪ হাজার হেক্টরের মধ্যে সেচের আওতায় ৬১ হাজার হেক্টর। পঞ্চগড়ের ৯৮ হাজারের মধ্যে সেচের আওতায় মাত্র ১৯ হাজার হেক্টর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, গত পাঁচ দশকে দেশে সেচযন্ত্র গভীর-অগভীর নলকূপের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৬ লাখে। সেচের জমি বেড়েছে প্রায় ২২ লাখ হেক্টর। এসব সেচযন্ত্র প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের বড় বড় নদী, শাখা নদী, উপশাখা ও প্রশাখা নদীগুলোর সাথে যুক্ত অসংখ্য খাল, হাওর, বিল থেকে পানি সরবরাহ করে। ফলে যেকোনো নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা, সরাসরি ওই নদীকেন্দ্রিক সেচব্যবস্থার ওপর আঘাত। অভিন্ন নদ-নদীতে ভারতের বাঁধ প্রত্যক্ষভাবেই বাংলাদেশের কৃষিব্যবস্থাকে অচল করে দেয়ার ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব ফেলেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
সিরিজে এগিয়ে যাবার লক্ষ্যে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ গ্রিড লাইনের ত্রুটিতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ভুক্তভোগী নারী ও তার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ বাড্ডায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কথিত স্বামী পলাতক গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবে খতমে নবুওয়ত ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নায়েব আলী জাতীয় গ্রিডে ত্রু‌টি, সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ রেকর্ড গড়ে সাদিক খান আবারো লন্ডনের মেয়র আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে : জিল্লুল হাকিম ফতুল্লায় ব্যবসায়ী অপহরণ, গ্রেফতার ৭

সকল