২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


প্রেমের ফাঁদে ধর্ষণ, সন্তানের পিতৃপরিচয় পেতে মরিয়া অন্তঃসত্ত্বা তরুণী

প্রেমের ফাঁদে ধর্ষণ, সন্তানের পিতৃপরিচয় পেতে মরিয়া অন্তঃসত্ত্বা তরুণী - ছবি : সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের ভাগিনা। এ ঘটনায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে সন্তানের পিতৃপরিচয় পেতে মরিয়া ওই তরুণী।

অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম সুজন হাওলাদার (২৬)। তিনি কোলা ইউনিয়নের রক্ষিতপাড়া গ্রামের আবজাল হাওলাদারের ছেলে।

নির্যাতিতা ওই তরুণী বলেন, ‘সুজন হাওলাদার আমার সাথে প্রায় দেড় বছর যাবৎ প্রেম করেছেন। আমাকে বিয়ে করবেন বলে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন নিয়মিত। আমি অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে বলি আমি বাচ্চাটা নষ্ট করে দেই। কিন্তু তিনি বলেন বাচ্চা নষ্ট করলে তোমাকে বিয়ে করব কীভাবে। তুমি যদি বাচ্চাটা না রাখ তাহলে তোমাকে বিয়ে করব না। এখন আমার পরিবার ও এলাকায় আমাদের ঘটনা জানাজানি হলে তিনি আমাকে অস্বীকার করে বলেন বিয়ে করবেন না। এখন আমি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এই বাচ্চা নিয়ে আমি কোথায় যাব? কার কাছে দাঁড়াব আমি এর সঠিক বিচার চাই।’

নির্যাতিতা কিশোরী দাদি বলেন, ‘রাক্ষিতপাড়া ছয় নম্বর ওয়ার্ড মিরাজ মেম্বারের ভাগিনা সুজন হাওলাদার আমার নাতনিকে নষ্ট করছে। এখন সে এলাকায় বইলা বেড়াইতেছে টাকা দিয়া আমার নাতনির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। আমরা গরিব বইলা কী আমাগো ইজ্জতের কোনো দাম নাই?’

নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা বলেন, `আমরা গরিব বইলা আজ আমার মেয়ের এমন সর্বনাশ করল বদমাইশ সুজন আমি এর বিচার চাই।'

কোলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো: মিরাজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি দু’পক্ষকে ডেকে বলে দিছি তোমরা যা ভালো মনে কর সেটা কর। পারলে নিজেদের মধ্যে সমাধান করে নাও। আইন সবার জন্য সমান আমার ভাগিনা যদি অন্যায় করে তাহলে সে শাস্তি পাবে।’

এ বিষয়ে সুজন হাওলাদারের সাথে যোগাযোগের জন্য একাধিক বার ফোন করলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রিজাউল হক বলেন, `এই ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।'


আরো সংবাদ



premium cement