টাঙ্গাইলের নাগরপুরে কোরবানির গরু ও ছাগলের চামড়া বিক্রি হচ্ছে না বললেই চলে। অপর দিকে দাম না থাকায় এতিমখানা ও মাদ্রাসা থেকেও চামড়া না নিতে আসায় নিজেরাই এতিমখানায় গিয়ে চামরা দিয়ে আসছেন কেউ কেউ। আবার কেউ গরুর চামড়ার সাথে ছাগলের চামড়া ফ্রী দিচ্ছেন।
জানা যায়, গরুর চামড়া ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ২৫০টাকায় কিনছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। উপজেলার সহবতপুরের কোকাদাইর দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুল মালেক নয়া দিগন্তকে জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কয়েক দফায় প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে কোরবানিও কম হয়েছে। তারপরও চামড়া নিতে চাইছে না বেপারীরা। দাম বলেছে, চামড়া ভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। আর খাসির চামড়া কিনতেই চায় না বিধায় গরুর চামড়ার সাথেই ফ্রী হিসেবে দিয়েছি। শুধু আমরা নই সকলেরই এমন অবস্থা। গরু ও ছাগলের চামড়ার এখন কোনো মূল্য নেই বললেই চলে।
কোকাদইর গ্রামে কোরবানি দাতা সুরমান আলী জানান, চামড়া বেপারীদের এখন আনাগোনা নেই। এতিমখানা থেকে এসেও চামড়া নিতে চায় না। আমরা চামড়ার ন্যায্য মূল্য পাইনি। একরকম জোড় করেই দিতে হয়েছে। তবে এরকম চামড়া আগে ১ হাজার ৪শ’ থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। প্রায় ১০-১২টি চামড়া বানের পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উপজেলার ঘিওরকোল বাড়িয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার রফিকুল ইসলাম আমিনি বলেন, চামড়ার দাম কম বিধায় এবার কোনো প্রতিষ্ঠানের চামড়া সংগ্রহের জন্য চিঠিপত্র বা কোনো প্রস্তুতি নেইনি। যারা সেচ্ছায় এতিমখানায় এসে চামড়া দিয়ে যাচ্ছেন কেবল তাদেরটাই রাখছি। এ পর্যন্ত ২০টি চামড়া জমা হয়েছে।
নাগরপুরের কালামসহ একাধিক চামড়া ব্যবসায়ী বলেন, বিভিন্ন সাইজের গরুর চামড়ার মূল্য ৫০ থেকে ১০০ টাকা এবং বড় গরুর চামড়ার সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় কিনেছি। ছাগলের চামড়ার চাহিদা না থাকায় কিনছি না সম্মানের স্বার্থে ৫ টাকা দরে দাম দিচ্ছি। অনেকেই আবার চামড়া গোডাউনে এসে বিক্রি করছেন।
দাম কমের কারণ হিসেবে তারা বলেন, একটি চামড়া কিনে ১২০-১৫০ টাকার লবণ লাগাতে হবে। তারপর বিক্রি করতে হবে। ২০০-২৫০ টাকার বেশি বিক্রি করাই যেন দায়। এখন আর চামড়ার ব্যবসায় কোনো লাভ নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা