০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নি ত্যো প ন্যা স

আকাশের ওপারে আকাশ

-

সাতান্ন.
এমনকি অনেক পরী পৃথিবীতে গিয়ে পৃথিবীর খাবারে অভ্যস্ত হয়ে আর আগুনের খাবার খেতে পারে না। সাধারণত তাদের জন্যই ওই খাবার। খুব একটা মানুষ তো আর পরীরাজ্যে বিশেষত নজীবীন রাজ্যে আসে না।
রিয়াজ অবাক হয়ে বলল, ‘তুমি যে এসব কেনাকাটা করলে কিন্তু দাম নেয়ার জন্য তো কাউকে দেখলাম না।’
তিতলী রিয়াজের মতোই অবাক গলায় বলল, ‘দাম নেয়ার জন্য কেউ থাকবে কেন। এসব কাজের জন্য দোকানে দোকানে পরী বসে থাকলে আমরা আমাদের রাজ্যের উ্ন্নয়নের জন্য কাজ করব কখন? এখানে জিনিসের পাশে দাম লেখা থাকে। সেটা দিতে হয়। রাতে সরকারের লোক এসে দামটা নিয়ে দোকানে আবার মাল ভরে রেখে যায়। আসলে এই সব দোকান তো সরকারের সম্পত্তি।’
‘কিন্তু কেউ যদি দাম কম দেয় বা না দিয়ে বেরিয়ে আসে?’
‘সেটা তো রাতেই সরকারের লোক ধরে ফেলবে। বুঝবে কেউ না কেউ কম দিয়েছে। হয়তো কে দিয়েছে সেটা বুঝতে পারবে না। তাই বলে সরকারের কোনো জিনিস ফাঁকি দেয়া মানে তো নিজের জিনিসই ফাঁকি দেয়া তাই না? আর তাছাড়া আমাদের সব কিছু সরকার মানে আমরাই নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। এখানকার প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক পরীকে একবার না একবার সরকারের দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমরা তো অনেক বছর বাঁচি, এজন্য দায়িত্ব পাইই। কাজেই কেউ কাউকে ফাঁকি দেয় না। আর ফাঁকি দিয়েইবা কী হবে। এই যে টাকা আমি খরচ করছি এ তো রাজকোষের টাকা। প্রতি মাসে রাজকোষ থেকে পর্যাপ্ত টাকা খরচ করার জন্য প্রতিটি নাগরিককে দেয়া হয়। আবার মাস শেষ হলে যা বাঁচে তা রাজকোষে জমা দিয়ে নতুন মাসের টাকা নিতে হয়। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement