১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


গল্পকথা

রিশা রাফির দিনগুলো

-

সাইত্রিশ.

মামা অনুরোধ করে বললেন, প্রথমবার গ্রামে এসেছ আর কিছু দিন থেকে যাও। আমি সুমিতা আর সুমনকে মানা করে দিয়েছি। ওরা অমন করবে না। মা শান্ত স্বরে বললেন, ওদের জন্য নয়। রিশা, রাফির বাবার কাজের ক্ষতি হচ্ছে। তাই ফিরে যেতে হচ্ছে। ট্রেন ছেড়ে দিলো। রিশা, রাফি ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকল। সুমন আর সুমিতা হাত নেড়ে নেড়ে বিদায় জানাচ্ছে। ওদের চোখ দুটো ছলছল করছে। রিশা, রাফিও নিজেদের সামলাতে পারল না। ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল।
ট্রেন ছুটছে। সুমন আর সুমিতাও ছুটছে। চার জোড়া কান্না ভেজা চোখ একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে। এই দৃশ্য দেখে বাবা-মা কেমন যেন হয়ে গেলেন। তাদের বুকের ভেতরটা হু হু করে উঠল। মা শাড়ির আঁচল দিয়ে তার চোখ মুছলেন। বাবা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, এভাবে চলে আসা ঠিক হলো না। রিশা, রাফি দুজনে সুমিতা আর সুমনের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছে। আমরা ওদের মন খারাপ করে দিলাম। মা বললেন, এখন তো আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা ঢাকায় ফিরে একটা সিদ্ধান্ত নেবো। বাবা নিচু স্বরে জানতে চাইলেন, কী সিদ্ধান্ত? আমরা ওদের উপর থেকে চাপ কমিয়ে দেবো। বিকেল বেলার সময়টা রিশা, রাফি নিজের মতো করে কাটাবে। নিষ্পাপ মুখগুলো ধীরে ধীরে একে অপরের কাছ থেকে হারিয়ে গেল। রিশা, রাফি তখনো ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে।
(শেষ)


আরো সংবাদ



premium cement
শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী সংসদ ভবনের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগকর্মী নিহত জুজুৎসুর সম্পাদকের যৌন নিপীড়নের তথ্য দিলো র্যা ব পানচাষীদের পরিশ্রমের ফসল জিআই স্বীকৃতি : প্রতিমন্ত্রী বগুড়ায় অবৈধ মজুদকৃত ১ লাখ ডিম উদ্ধার তথ্যের জন্য সাংবাদিকরা শতবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেতে পারেন : ডেপুটি গভর্নর ইসরাইলি হামলায় ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত আফগানিস্তানে গুলিতে ৩ স্প্যানিশ ও ৩ আফগান নিহত বিভিন্ন অপরাধে সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করল ইরান কিরগিস্তানে আতঙ্কে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ‘প্রাচীন হিব্রুদের সাথে ইসরাইলি ইহুদিদের জেনেটিক সংযোগ নেই’

সকল