০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

আটচল্লিশ.

সিঁড়ির গোড়া থেকে ডাকলেন মিনা ফুপু, ‘এই আয় তোরা। খাবার দেয়া হয়েছে।’
‘চলো,’ রেজা বলল। ‘ফুপুর সামনে এ নিয়ে টুঁ-শব্দটি করবে না।’
নিচে নেমে এলো দু’জনে। ডাইনিং টেবিলে গরম খাবার। মিনা ফুপুর পোশাক পরে চেয়ারে বসে আছে আলিশা। হেসে বলল, ‘ঠিকমতোই ফিট করেছে। আন্টি আর আমার শরীরের সাইজ মোটামুটি এক।’
বাইরে বাতাসের গর্জন বাড়ছে। সেদিকে তাকিয়ে ভ্রƒকুটি করলেন মিনা ফুপু। ‘কখন যে থামবে কে জানে!’
‘একটা জিনিস খেয়াল করেছ কেউ,’ সুজা বলল, ‘তুফানের সঙ্গে কথা বলা যায়। বললে, জবাব দেয়।’
মিনা ফুপু বললেন, ‘করেছি। আমি যদি বলি সুজা, বাতাসও বলতে থাকবে সুজা-উজা-উজা-উজা-উজা। যা বলা হবে, তারই জবাব পাওয়া যাবে। তবে সে-শব্দ শোনার জন্যে একটা বিশেষ ভঙ্গিতে কান পাতা লাগে।’
‘কানফান কিছু না, ও সব স্রেফ কল্পনা, আমিও জানি,’ রেজা বলল। ‘শুধু তুফান কেন, রেলগাড়িতে চড়ার সময়ও হয়। ট্রেন যখন দ্রুত ছুটতে থাকে, লাইনের সঙ্গে ঘষা লাগার ঘটারং-ঘট ঘটারং-ঘট শব্দটাকে যে কোনো নাম কল্পনা করে নিলে মনে হয় বার বার নামটার প্রতিধ্বনি করছে লাইন।’
কথা বলতে বলতে খাচ্ছে ওরা। আলিশা খাবার নিয়ে নাড়াচাড়া করছে শুধু, কিছুই প্রায় খাচ্ছে না। কথাও বলছে না তেমন। যা বলছে, তার বেশির ভাগই রেজা-সুজার প্রশংসা, ওদের দুঃসাহস আর বীরত্বগাথা। অস্বস্তি বোধ করছে দু’জনে, শঙ্কিত হয়ে আড়চোখে ফুপুর দিকে তাকাচ্ছেÑ প্রশংসার কারণে নয়, ওদের সমস্ত গোপন কথা ফাঁস করে দিচ্ছে আলিশা। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement