০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

সাতচল্লিশ.

রান্নাঘর দিয়ে ঢুকল সে। ফুপু নেই। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। খোঁড়ানোর জন্যে কৈফিয়ত দিতে হবে না। সিঁড়ি বেয়ে উঠে এলো দোতলায়। নিজেদের ঘরে ঢুকল।
কাপড় বদলাচ্ছে রেজা। ‘তোমার পায়ে কী হলো? গোড়ালি মচকেছ?’
‘না। মেহমান এসেছিল।’ গ্যারেজের ঘটনাটা সবিস্তারে খুলে বলল সুজা।
ভ্রƒকুটি করল রেজা। ‘টেপের কথা জানল কী করে সে?’
বিছানার কিনারে বসে জুতো খুলতে শুরু করল সুজা। ‘আমি বলিনি!’
‘সে-জন্যেই তো বলছি, জানল কিভাবে?’
গোড়ালি ডলতে ডলতে মুখ তুলে তাকাল সুজা। ‘নিশ্চয় আমাদের দুজনকে আলোচনা করতে শুনেছে!’
‘কিভাবে শুনল?’
‘নিশ্চয় বাগ!’ চেঁচিয়ে উঠল সুজা। ‘ঘরের মধ্যে খুঁজে দেখা দরকার!’
আলমারি থেকে শুরু করল ওরা। ঘরের প্রতিটি জিনিস, প্রতি ইঞ্চি জায়গা খুঁজে দেখতে লাগল। পনেরো মিনিট পর সুজার বিছানার নিচের কার্পেটের তলা থেকে বের হলো জিনিসটা। রেজা বের করল।
খুদে একটা ইলেকট্রনিক যন্ত্র। তুলে ধরল রেজা।
চেঁচিয়ে উঠল সুজা, ‘বলেছি না, বাগ!’
‘হ্যাঁ,’ বলে কার্পেটের বাইরে মেঝেতে ফেলল ওটা রেজা। পা দিয়ে মাড়িয়ে ভর্তা করে ফেলল। ‘আমাদের আলোচনা আর নিজেদের ঘরে বসে শুনতে পারবে না ডাকাতরা। তবে মাত্র একটা নষ্ট করেছি। আমার বিশ্বাস, খুঁজলে এ বাড়ির সব ঘরেই এখন একটা করে এই জিনিস পাওয়া যাবে।’
‘কিন্তু কে রেখে গেল? কিভাবে?’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement