২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

দশ.

সংখ্যায় কম ছিল বলে শুরুতে বনে বাস করতে কোন অসুবিধে হয়নি। কিন্তু বাড়তে বাড়তে এখন পনেরোটার মতো হয়ে গেছে। বনের মধ্যে অত খাবার পায় না। তাই এখন আমাদের ছাগল-ভেড়া আর হাঁস-মুরগিগুলোর দিকে নজর দিতে শুরু করেছে। খারাপই লাগে আমার। হাড় জিরজিরে, শুকনো, রুগ্ন। মিউনিসিপ্যালিটিকে জানিয়েছি। কানেই তুলছে না। আমার তো ভয়ই লাগছে, খাওয়ার জন্যে কোন দিন না মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে বসে।’
‘তাহলে তো বিপদের কথা!’ ঘড়ি দেখল রেজা। ‘আন্টি, বাড়িতে একটা ফোন করব।’
‘যাও না,’ ফোনটা যে ঘরে আছে সেদিকে নির্দেশ করলেন নেডের আম্মা।
রেজার পেছন পেছন সুজাও এলো। বাড়িতে ফোন করল রেজা। ফোন ধরলেন মিনা ফুপু। ‘জলদি চলে আয়। ভাইয়া ফোন করেছিল। ওকে আনতে এয়ারপোর্টে যেতে হবে তোদের।’
নেডদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি রওনা হলো রেজা-সুজা। পনেরো মিনিট পর পৌঁছে গেল নিজেদের বাড়ির ড্রাইভওয়েতে।
দৌড়ে ঘরে ঢুকল দু’জনে। মিনা ফুপু বললেন, ‘জলদি যা।’
সুজার দিকে তাকাল রেজা। ‘এক মিনিট। টেপ রেকর্ডারটা নিয়ে আসি। ফেরার পথে হাসপাতাল হয়ে আসব। রেড কী বলে রেকর্ড করে নিতে হবে। প্রলাপ বকার সময় মানুষ অনেক মূল্যবান তথ্য ফাঁস করে দেয়।’
একেক লাফে দুই ধাপ করে সিঁড়ি টপকাতে লাগল রেজা। কার্পেট পাতছে গিরিশ কারওয়া। কাটা কার্পেটের কিনারে পা বেঁধে গেল রেজার। টান লেগে সরে গেল অনেকখানি।
থেমে গেল রেজা। ‘আহ্হা!’
‘ঠিক আছে, ঠিক আছে, ও কিছু না,’ হাসিমুখে বলল গিরিশ।
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement