২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পা র স্যে র রূ প ক থা

উটের পিঠে শেয়াল

-

(গত দিনের পর)
খেজুর, আঙুর, নাশপাতি, বাঙ্গি, পিচ, আনার, কমলা, পেয়ারা, লিচু, আপেল। আহ, আরো কতসব ফলফলাদিতে ভরে আছে বাগানটি। মনের সুখে এবার সে ফল খেতে শুরু করে। এক দিন যায়, দুই দিন যায়, তিন দিন যায়। খেয়ে খেয়ে শেয়ালটি এখন বেশ মোটাতাজা ও নাদুসনুদুস হয়ে উঠেছে। সুখের আর সীমা নেই তার। শেয়াল মনে মনে ভাবেÑ আহ, এত সুখ ছিল আমার কপালে! সারা জীবন আমি এখানেই কাটিয়ে দেবো। কে পায় আমাকে?’
একদিন ঘটল বিপত্তি। কথায় আছে না চোরের ১০ দিন তো গৃহস্থের এক দিন। বাগানের মালিক টের পেয়ে গেলেন, তার বাগানের ফল চুরি যাচ্ছে। পাহারায় রইলেন তিনি। হঠাৎ একদিন তিনি দেখেন, ঠিকই তো। এ যে এক মস্তবড়Í শেয়াল! বাগানের বেড়ার তল দিয়ে একটি গর্ত করে নিয়েছে। দিব্যি সেই গর্তের ভেতর দিয়ে সে বাগানে ঢুকছে আর মনের সুখে এ গাছ থেকে ও গাছ, ও গাছ থেকে এ গাছের ফল খেয়ে বেড়াচ্ছে। বাগানের মালিক মনে মনে বললেন, ‘দাঁড়াও, দেখাচ্ছি মজা।’ প্রথমে তিনি দেয়ালের পাশের ওই গর্তটিকে ভালোভাবে বন্ধ করে দিলেন। গর্তের ভেতরটা কাদামাটি দিয়ে ভরে গর্তের মুখ মাটি দিয়ে সমান করে লেপে দিলেন। এখন আর বোঝার উপায় নেই, এখানে কোনোকালে কোনো গর্ত ছিল। এর পর তিনি শেয়ালকে করলেন তাড়া।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement