দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথে সব শ্রেণীর গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ায় যাতায়াতের সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। একই সঙ্গে দেশের সাধারণ যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য থেকে মুক্তি দিতে সব পথে সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান। এ সময় মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর প্রথমে সারা দেশের বিআরটিসি বাসে ও পরে ঢাকা মহানগরীতে শিক্ষার্থীদের হাফ পাসের সুবিধা দেয়ার ঘোষণা এলেও এখনো তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, রাজধানীর অনেক বাসে শিক্ষার্থীদের ওঠানো হচ্ছে না। অনেক বাসে অর্ধেক ভাড়া নেয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়া দিলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীকে বাস থেকে নামার সময় ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দিচ্ছে। এতে যেকোনো সময় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটলে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে ওঠার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিবহন সেক্টরে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারাই সড়কে অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পরিবহন নেতারা সরকারের সঙ্গে থেকে পরিবহন ধর্মঘটের নামে জনগণকে জিম্মি করে সরকারের কাছ থেকে নানাভাবে ফায়দা লুটছে। বারবার ঘোষণা দিয়েও সিটিং সার্ভিসের নামে ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ না করে এসব গাড়িতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার ৩ থেকে ৪ গুণ বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
এ সময় সারা দেশের সড়ক, রেল, নৌপথে সব শ্রেণীর গণপরিবহনে একজন শিক্ষার্থী তার ছাত্র জীবনে সার্বক্ষণিক এবং যেকোনো দিন, যেকোনো সময় আইডি কার্ড দেখিয়ে হাফ পাস সুবিধাসহ ২০ দফা সুপারিশ জানায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না, সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ, সহসভাপতি তাওহিদুল হক লিটন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।