টাঙ্গাইল শাড়ির জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক স্বত্ব রক্ষার জন্য আইনি লড়াই করতে ভারতে ল’ ফার্ম নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
পরে আদালত আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে এফিডেভিট আকারে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
আদালতে উপস্থাপন করা শিল্প মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়ক, অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ হাই কমিশন, নয়া দিল্লি কর্তৃক ভারতের সংশ্লিষ্ট উচ্চ আদালত/রেজিস্টার বরাবর বাতিল আবেদন দাখিল করার জন্য নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পূর্বেই একটি ল’ ফার্ম নিয়োগ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণের জন্য জরুরি সভা আয়োজন করা হয়। সর্বশেষ সভায় মাসুন অ্যান্ড এসোসিয়েটকে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এছাড়া জে আই পণ্যের তালিকায় দেখা গেছে, ৬৪ জেলার মধ্যে ১৫০টি পণ্য সম্ভাব্য এবং ৩৪টি পণ্য নিবন্ধিত হয়েছে।
কয়েক শ বছরের পুরনো টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের দাবি করে সম্প্রতি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় প্রতিবেশী দেশ ভারত। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় দেশটির শিল্প মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়। তখনই দেশি জিআই পণ্যের তালিকা করার বিষয়টি সামনে আসে।
এ বিষয়ে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করে আদেশ দেন। আদেশে দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে রেজিস্ট্রেশন যোগ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জি আই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের তালিকা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সাথে জিআই পণ্যে হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন করা পণ্যের তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দিলেন উচ্চ আদালত।
রুলে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। বাণিজ্য সচিব, কৃষি সচিব, সংস্কৃতি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা জানান, বাংলাদেশের জিআই পণ্যে টাঙ্গাইল শাড়ি হওয়ার যোগ্যতা রাখে সেই পণ্যটিকে ভারত তাদের পণ্য হিসেবে রেজিষ্ট্রি করে প্রকাশ করেছে। এর প্রেক্ষিতে একটি রিট করেছি। ওই রিটে রুল জারি করে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের পর সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক তথ্য পেয়েছি। সুপ্রিম কোর্টের কাছে একটি তালিকা পেশ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে শতাধিক জিআই পণ্যের তালিকা করা হয়েছে। এই তালিকা ক্রমবর্ধমান হারে চলবে। আর জিআইযোগ্য পণ্যের তালিকাও দাখিল করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা