২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাবুবাজারের পার্কিং ইজারা নিয়ে অনিয়ম

ডিএসসিসির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
-

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সম্পত্তি বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। বাবুবাজার ব্রিজের নিচ পার্কিং ইজারা দিয়ে এবং ওয়ার্ক অর্ডার না দিয়ে ফের ইজারা দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগী হাজী সালেহ মোহাম্মদ বলেন, ৩৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা।
জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সম্পত্তি বিভাগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। কিছু অসাধু কাউন্সিলরদের সাথে আঁতাত করে মোটা অঙ্কের টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন তিনি। সম্পত্তি বিভাগের অনেকে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ইজারা দিয়ে টাকা আত্মসাৎ ছাড়াও টেন্ডারবিহীন টয়লেট নির্মাণে অনিয়ম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। এমন একটি ঘটনায় সর্বস্বহারা হাজী সালেহ মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বাবুবাজার ব্রিজের নিচ পার্কিং ইজারা দিচ্ছে। এমন কথা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে টেন্ডার ড্রপ করি। চলতি বছরের গত ৩০ জানুয়ারি ওপেন টেন্ডার হয়। বেশ কয়টি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার ড্রপ করে। তারমধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কাজ পাই আমি। ১২ মার্চ ইজারার কাগজ দেয় ডিএসসিসি। সাত দিনের মধ্যে সব টাকা জমা দিতে হবে। ১৩ মার্চ শুক্রবার, ১৪ মার্চ শনিবার, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, ২০ মার্চ শুক্রবার ও ২১ মার্চ শনিবার হওয়ায় ২২ মার্চ ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা নগর ভবনের সোনালী ব্যাংকে জমা দেই। এর আগে ১৮ মার্চ ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা আয়কর বাবদ এবং সিকিউরিটি মানি বাবদ আরো ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা জমা দেই। এ ছাড়া ১৮ মার্চ আরো ৫ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টাকা সরাসরি সিটি করপোরেশন ভবনে সোনালী ব্যাংকে জমা দেই। এর আগে টেন্ডারের ৩০% টাকা নিয়মানুযায়ী জমা দেই, যা ১৬ জানুয়ারি ৭ লাখ ও ২৯ জানুয়ারি সাড়ে ৩ লাখ টাকা পেঅর্ডার করি। এ ছাড়া আয়কর বাবদ আরো ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা জমা দেই। যেখানে সাত দিনের মধ্যে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়ার কথা, সেখানে ৬ মাস ১৫ দিনেও ওয়ার্ক অর্ডার দেয়নি কর্তৃপক্ষ। দিচ্ছি দেবো বলে সময় কাটায়। এ বিষয়ে তিন বার মেয়র বরাবরে আবেদন করছি। কোনো উত্তর পায়নি। তিনি আরো বলেন, গতকাল একটি জাতীয় দৈনিকের ১০ম পাতায় একই বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। ওয়ার্ক ওর্ডার না দিয়ে ফের ইজারা দেবে তা কেমনে হয়। এ জন্য সম্পত্তি বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন দায়ী। তা ছাড়া ওই জায়গা নিয়ে ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম এ মান্নানের সাখে খুনাখুনির মতো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটান তিনি। বর্তমান কাউন্সিলরকে ইজারা দেয়া স্পটের পার্কিংয়ের টাকা উঠাতে বলেন। অথচ পার্কিং ইজারা নেয়া আমার। দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাজিয়ে দেন প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা। গত মাসে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। এমনকি মামলাও হয়। ঠিক পরের দিন থেকে সিটি করপোরেশন পার্কিং স্পটের টাকা উঠাতে শুরু করেন। ভুক্তভোগী সালেহ মোহাম্মদ আরো বলেন, বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা ধার করে সিটি করপোরেশনে ৩৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জমা দেই। আমাকে ওয়ার্ক অর্ডার না দিয়ে ফের ইজারা দেয়া এটা প্রতারণা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশ (ডিএসসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন নয়া দিগন্তকে বলেন, ইজারা বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় গণহত্যায় জার্মানির সহায়তা, রায় ৩০ এপ্রিল কলকাতার রাস্তায় চাকরি হারানো শিক্ষকরা শিল্পী-সাংবাদিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যশোর কারাগারে হাজতিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যাপক আতঙ্ক চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং

সকল