০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঈদের আগে-পরে ১৪৬ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৯৭ : আহত ৬২৭ জন

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন
-

ঈদুল আজহার আগে ও পরে ৬ আগস্ট থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ১২ দিনে সারা দেশে ১৪৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯৭ জন নিহত এবং ৬২৭ জন আহত হয়েছে।
গতকাল রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয় সড়ক, নৌ ও রেলপথে মোট দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৭৬টি। নিহত ২২৩ জন, আহত ৬৭০ জন। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা, নিউজ পোর্টাল এবং টেলিভিশনের সংবাদ-তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয় এবারে ঈদ যাত্রায় সড়কপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৪৬টি। নিহত ১৯৭ জন (পুরুষ ১৫৯, নারী ৩৮)। আহত ৬২৭ জন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে বেশি। ৫৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৬৯ জন।
অপর দিকে নৌপথে ২১টি দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত, ৩২ জন আহত এবং ৬৪ জন নিখোঁজ হয়েছে। রেলপথে ৯টি দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনগুলোর ধরন ও সংখ্যায় বলা হয়েছে মোটরসাইকেল ৫৩, বাস ২৭, ট্রাক ১৮, পিকআপ ২৩, লরি এক, ট্রাক্টর দুই, প্রাইভেট কার ১২, মাইক্রো বাস আট, পুলিশ ভ্যান এক, ভটভটি ১১, নসিমন ৯, অটোরিকশা ৪৩, মাহিন্দ্র তিন ও টমটম একটি মিলে মোট ২১২টি দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনের পাশাপাশি দেয়া পর্যবেক্ষণে বলা হয় মহাসড়কের চেয়ে আঞ্চলিক সড়কে দুর্ঘটনার মাত্রা বেশি ছিল। মহাসড়কে ৬৫ এবং আঞ্চলিক সড়কে ৮১টি দুর্ঘটনা ঘটে। ঈদপূর্ব যাত্রায় ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ রুটে ভয়াবহ যানজটে ঘরমুখী মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়। পথে পথে পশুবাহী যানবাহনে রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি হয়েছে। ঢাকা শহরের ফিটনেসবিহীন লোকাল বাসগুলো বিভিন্ন মহাসড়কে যাত্রীবহনের কারণে যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের সব রুটে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হয়েছে। স্বল্পগতির যানবাহন সড়ক-মহাসড়কে বেপরোয়াভাবে চলাচল করেছে। প্রথম দিন থেকেই ট্রেনের ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়ে ট্রেনযাত্রীদের অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। নৌপথে বরাবরের মতোই অব্যবস্থাপনা বিদ্যমান ছিল। প্রতিশ্রুতি থাকলেও সড়ক, নৌ ও রেলপথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা দৃশ্যমান ছিল না। বাস্তবতা হলো, ঈদ উপলক্ষে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের যাতায়াতের জন্য মানসম্পন্ন যথেষ্ট গণপরিবহন দেশে নেই।
তবে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অদক্ষ চালক, অতিরিক্ত গতি ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে ওভারটেক করার প্রবণতা, বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো, সড়ক-মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবহনের বেপরোয়া চলাচল এবং যাত্রী ও পথচারীদের অসচেতনতা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। এ ব্যাপারে তার পক্ষ থেকে সুপারিশে বলা হয়, গণপরিবহন কেন্দ্রিক অসুস্থ সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি, দুর্নীতি বন্ধ করে টেকসই পরিবহন কৌশল গ্রহণ করতে হবে। পর্যাপ্ত দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। নিরাপদ যাতায়াতের জন্য আধুনিক সড়ক নির্মাণের পাশাপশি রেল ও নৌপথকে বিস্তৃত ও মানসম্পন্ন করতে হবে। রাজধানী ঢাকার প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়টিও ভাবতে হবে। জনবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা পোষণ করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক শিরীন দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন, তারপরও লোডশেডিং বড় চমক ছাড়াই প্রস্তুত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল দোয়ারাবাজারে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা, আটক ১ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ২ প্রার্থী নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন : শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা আবাহনীর ২২তম শিরোপা

সকল