০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে ধীরগতি ৫ মাসে বাস্তবায়ন ২২ শতাংশ

-

ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত (এডিপি) প্রকল্পগুলো নভেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত প্রথম পাঁচ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ২২ ভাগ। এডিপিভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন সম্পর্কিত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভা সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সভায় এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সময়সীমা বেঁধে দেয়াসহ দ্রুত বাস্তবায়নে তাগাদা দেয়া হয়েছে।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় চলতি অর্থবছরে ১২টি অনুমোদিত এবং ১০টি অননুমোদিত প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর অনুকূলে এডিপিতে বরাদ্দ থাকে ৮৬৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে নভেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত অবমুক্ত হয় ৩৩৬ কোটি ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৩৯ ভাগ। এই সময়ের মধ্যে ব্যয় হয়েছে ১৯১ কোটি ৩৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা, অর্থাৎ বাস্তবায়ন হার ২২.১১ ভাগ। গত ২৮ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যালোচনা সভা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী হাসান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হচ্ছে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমÑ ষষ্ঠ পর্যায় (প্রথম সংশোধিত)। এই প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ এর মধ্যে বাস্তবায়নাধীন। এই প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থবছরের মোট বরাদ্দ ৬৭৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় দারুল আরকান ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম আগামী ৩১ জানুয়ারি ৯৮ এবং প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্রগুলোর ডাটাবেজ প্রস্তুতের কাজ ২৮ ফেব্রুয়ারি ’১৯ এর মধ্যে সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
জেলা ও উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিককেন্দ্র স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে এপ্রিল ২০১৭ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে বাস্তবায়নাধীন। কিন্তু এই প্রকল্পের অগ্রগতি একেবারেই কম। চলতি বছর এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের পরিচালক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং যে সব জেলা ও উপজেলা থেকে এখনো জমির প্রস্তাব পাওয়া যায়নি সেসব জেলার জমির প্রস্তাব চেয়ে প্রকল্প দফতর থেকে পত্র দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত খাসজমি, অধিগ্রহণকৃত জমি এবং যেসব জমি এমওইউর মাধ্যমে ব্যবহার করা হবে সেসব জমির তালিকা ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সভা থেকে মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য যেসব জমি এখনই মসজিদ নির্মাণ উপযোগী সে সব স্থানে জরুরি ভিত্তিতে দরপত্র আহ্বানের সুপারিশ করা হয়েছে।
এপ্রিল ২০১৬ থেকে মার্চ ২০১৯ সালের মধ্যে বাস্তবায়নাধীন ইসলামী পুস্তক প্রকাশনা কার্যক্রম দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের জন্য চলতি বছরে বরাদ্দ ছিল ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে। জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০১৯-এর মধ্যে বাস্তবায়নাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় পর্যায় ও জেলা লাইব্রেরিতে পুস্তক সংযোজন ও পাঠকসেবা কার্যক্রম প্রকল্পটি আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। প্রকল্পটির জন্য ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বরাদ্দ ৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
মসজিদভিত্তিক পাঠাগার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পটির জন্য ৯ কোটি ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় বাইসাইকেল ক্রয় ২০ জানুয়ারি এবং আলমারি ক্রয় ২৮ জানুয়ারি ২০১৯-এর মধ্যে সম্পন্ন করার সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নাধীন গোপালগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী করার তাগাদা দেয়া হয়।
ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে জুন ২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নাধীন সিরতা, ময়মনসিংহ ও কালকিনি, মাদারীপুর ইসলামিক মিশন ডায়গোনস্টিক সেন্টার শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের সিরতা ময়মনসিংহ অংশে ভালো মানের ঠিকাদারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে তাগাদা দেয়া হয়।
মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পঞ্চম পর্যায় প্রকল্পটি জুলাই ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নাধীন। এই প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ৫৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এটি হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন পিপিআর ও বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা অনুসরণ করে চলমান রাখতে বলা হয়।
এ ছাড়া প্যাগোডাভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্প (দ্বিতীয় কিস্তি), ধর্মীয় ও আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ ইমাম প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি ও বিভাগীয় কমপ্লেক্স স্থাপন প্রকল্প, জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ (চট্টগ্রাম) সম্প্রসারণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম হজ অফিস পুনর্নির্মাণ এবং হজ প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি স্থাপন প্রকল্প, সাতটি ইসলামিক মিশন কেন্দ্র স্থাপন, তিন পার্বত্য জেলায় ১২টি মিশন সাব-সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং ১০টি মিশনের বিদ্যমান ভবনের সংস্কার ও মেরামত প্রকল্প, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ কমপ্লেক্স পুনর্নির্মাণ প্রকল্প, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি প্রকল্প, হাওর এলাকায় জনগণের জীবনমান উন্নয় ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইমামদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করে এসব প্রকল্পে দ্রুত বাস্তবায়নে তাগাদা দেয়া হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক শিরীন দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন, তারপরও লোডশেডিং বড় চমক ছাড়াই প্রস্তুত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল দোয়ারাবাজারে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা, আটক ১ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ২ প্রার্থী নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন : শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা আবাহনীর ২২তম শিরোপা

সকল