২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ফেনীতে খাবারের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে লুট : ২ পরিবারের ৯ জন হাসপাতালে

অচেতনদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। - ছবি : নয়া দিগন্ত

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার এক গ্রামে রান্না করা খাবারে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে দিয়ে দুই পরিবারের সবাইকে অচেতন করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার সকালে দুই পরিবারের নারী-শিশুসহ ৯ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।

সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাতে ওই বাড়ির আবদুস ছাত্তার ও তার ভাই আবুল হোসেনের ঘরের সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকালে ওই দুই পরিবারের ঘরের দরজা খোলা থাকলেও কেউ ঘুম থেকে উঠে বাইরে বের হয়নি। তাদের কথাবার্তার শব্দও শুনতে পায়নি বাড়ির অন্যান্য পরিবারের লোকজন। বেলা বাড়ার পর প্রতিবেশীরা ঘরের সামনে গিয়ে তাদেরকে ডাকাডাকি করতে থাকে। এতেও ঘরের ভেতর থেকে কারো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা ঘরে ডুকে সবাইকে অচেতন ও ঘরের আলমারির দরজা খোলা, অন্যান্য জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।

তখন তারা অচেতন আবদুস ছাত্তার (৭২), জোসনা আক্তার (৬২), হারুনুর রশিদ (৩৫), সুমাইয়া বেগম (৩২), আবুল হোসেন (৬৫), আফিয়া আক্তার (৫২), মো: সোহাগ (৩৫), ইব্রাহিম (৫) ও হুজাইফাকে (৭) উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা: মো: ইকবাল হোসেন ভূঁঞা জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে অচেতন অবস্থায় দুই পরিবারের নারী-শিশুসহ ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদেরকে রাতের খাবারের সাথে উচ্চ মাত্রার ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালে ভর্তি ৯ জনের মধ্যে একজন ছাড়া অন্য ৮ জনের অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে।

দাগনভূঞা থানার ওসি মো: ইমতিয়াজ আহমেদ খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, এটি দুর্বৃত্তদের কাজ। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নেয়ার চেষ্টা চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement