তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের প্রায় দুই মাস পর ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশী মামলা করেছেন তার মা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আদালতের বেঞ্চ সহকারী কাজী হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বৃহস্পতিবার তিনি এ নালিশী অভিযোগটি করেন।

বিচারক ইয়ারব হোসেন অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করেছেন। এ ঘটনার তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিতে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

জানা যায়, বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিক রিয়াজ ও তার (রিয়াজ) তিন বন্ধু মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে দাবি করেছেন তার মা।

বিবাদীরা হলেন ওই তরুণীর প্রেমিক নগরীর কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা জামাল সিকদারের ছেলে রিয়াজ সিকদার। প্রেমিক রিয়াজের বন্ধু একই এলাকার বাসিন্দা মানিক হাওলাদারের ছেলে রিয়াজ হাওলাদার, নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডের তৈয়ব ম্যানশনের মো: আলালের ছেলে বাধন এবং সাগরদী হামিদ খান সড়কের শুক্কুর ভূঁইয়ার ছেলে সাকিব ভূঁইয়া।

এর আগে এক সন্তানের মা ওই তরুণী তার প্রেমিক রিয়াজের সাথে নগরীর একটি ভাড়া বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে থাকতেন। সম্প্রতি বিয়ের জন্য চাপ দিলে ওই তরুণীর সাথে তার প্রেমিকের তর্ক হয়। এরপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে প্রেমিক রিয়াজ সিকদারসহ তার বন্ধুরা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণেই ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছে দাবি তার মায়ের।

নালিশীর বরাতে আদালতের বেঞ্চ সহকারী কাজী হুমায়ুন কবির জানান, এক সন্তানের মা ওই তরুণী নগরীর একটি সমিতির মাঠকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। এ সময় তার সাথে রিয়াজ সিকদারের পরিচয় ও পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রিয়াজ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণী ও তার ছয় বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে নগরীতে বাসা ভাড়া নেন। সেখানে তারা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস করতেন।

নালিশিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি ওই তরুণী বিয়ের জন্য রিয়াজকে চাপ দিলে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। এরপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রিয়াজ সিকদার তার তিনজন বন্ধু রিয়াজ, বাধন ও সাকিবকে নিয়ে বাসায় আসেন। তখন ওই তরুণীর ছয় বছর বয়সী ছেলেকে পাশের বাসায় রেখে আসা হয়। পরে রিয়াজসহ তার বন্ধুরা তরুণীকে ধর্ষণ করে। এ কারণে ওই তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি তার মায়ের।