০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভোলার ইলিশায় প্রশাসনের ধাওয়ায় নদীতে পড়ে গেলেন ৩ যাত্রী

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে পাঁচ শতাধিক যাত্রী অপেক্ষা করছিলেন। ফেরি আসার সাথে সাথে হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠতে থাকেন যাত্রীরা। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করেন। এ সময় ঢাকামুখী তিন যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। পরে তারা সাঁতরে পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়।

নদীতে পড়ে যাওয়া তিন যাত্রীর মধ্যে একজনের নাম রুবেল হোসেন। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। দু’দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি আসছিলাম। আজকের মধ্যে ঢাকা পৌঁছতে না পারলে আমার চাকরিটা থাকবে না। জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। র‌্যাবের ধাওয়া ও যাত্রীদের চাপে নদীতে পড়ে যাই। এতে আমার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ভিজে গেছে। এখন আমি কিভাবে কি করব?

এদিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আবু আবদুল্লাহ খান জানান, লকডাউনের মধ্যে ইলিশা ফেরিঘাটে সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ ছিল। তাদের বুঝিয়ে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করছি। ঘাটে ফেরি আসার একপর্যায়ে যাত্রীরা আমাদের বাধা অতিক্রম করে ফেরিতে উঠতে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গতিরোধ করলে যাত্রীদের চাপে ঘাটের গ্যাংওয়ে থেকে তিনজন নদীতে পড়ে যায়। পরে স্থানীদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়।

ভোলার জেলা প্রশাসক মো: তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, ভোলার ফেরি ও লঞ্চঘাটে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি টিম, র‌্যাব, কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশ ও জেলা পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। বিদেশেগামী যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ফেরিতে উঠতে দেয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। তারাও যাত্রী পারাপারে কঠোর অবস্থানে আছেন।


আরো সংবাদ



premium cement