বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় বুধবার জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আছাদুজ্জামানের আদালতে আরো পাঁচজন এবং শিশু আদালতের বিচারক ও জেলা জজ মোঃ হাফিজুর রহমানের আদালতে আরো তিনজনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা ও দায়রা আদালতে কনেষ্টবল মোঃ মোসলেম উদ্দিন, এসআই সাইদুল হক, কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান, কনস্টেবল নেফয়েজ আহম্মেদ এবং শিশু আদালতে নয়ন বন্ড ও মিন্নির বিয়ের সাক্ষী সাইফুল ইসলাম মুন্না, রাইয়ানুল ইসলাম শাওন ও জান্নাতুল ফেরদৌস যখন সাক্ষ্য দেন তখন জেলা ও দায়রা আদালতে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ নয়জন আসামি ও শিশু আদালতে ১৪ জন শিশু আসামি উপস্থিত ছিল। এ পর্যন্ত জেলা ও দায়রা আদালতে ৬৫ জন ও শিশু আদালতে ৩৩ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হলো।
এদিন জেলা ও দায়রা আদালতে জব্দ তালিকার পাঁচজন সাক্ষ্য দেয়।
সাক্ষ্য শেষে পুলিশের কনস্টেবল মোসলেম উদ্দিন নয়া দিগন্তকে বলেন, আমি রিফাত হত্যার ঘটনার দিন বরগুনা সদর থানায় সিডিএমএস অপারেটর হিসাবে কর্মরত ছিলাম। ১৯ আগষ্ট রাত অনুমান সাড়ে ৯টার সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ইউটিউবে সার্চ দিয়ে নয়ন বন্ডের জম্মদিনে মিন্নিকে কেক খাওয়ানোর দৃশ্য ও রিফাত শরীফকে হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য যা পরবর্তিতে মোবাইল ফোনে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও ডাউনলোড করা একটি পেন ড্রাইভ আদালতে সনাক্ত করেছি।
অন্য সাক্ষীরা হলেন, যথাক্রমে এস আই সাদুল হক রিফাত শরীফের লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। সাক্ষী শফিকুল ইসলাম রিফাত শরীফের রক্তমাখা জিন্স প্যান্ট সনাক্ত করেন। সাক্ষী হাবিবুর রহমান কলেজের সামনে সিসিটিভির ফুটেজ সনাক্ত করেন। সাক্ষী নেফয়েজ আহমেদ রিফাত শরীফের রক্ত মাখা জামা সনাক্ত করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা কোনো সাক্ষীকে জেরা করেননি।
শিশু আদালতে সাক্ষী সাইফুল ইসলাম মুন্না, রাইয়ানুল ইসলাম শাওন ও জান্নাতুল ফেরদৌস নয়ন বন্ড ও মিন্নির বিয়ের সাক্ষী। এ কারণে তাদের সাক্ষ্য নেয়া হয়নি।
শিশু আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোঃ মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, সাক্ষীরা নয়ন বন্ড ও মিন্নির বিয়ের সাক্ষী। এ জন্য তাদের জেরা করার দরকার হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ভবন চন্দ্র হাওলাদার নয়াদিগন্তকে বলেন, আদালতে যে পাঁচজন সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা সবাই আলামত জব্দ তালিকা করার সময় উপস্থিত ছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা