০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বামনায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমির মাটি কর্তন

বামনায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ব্যক্তি মালিকানার মাটি কাটার সময় শতবর্ষী বেশ ক’টি গাছও কাটা পড়ে : নয়া দিগন্ত -

বরগুনার বামনা উপজেলা সদরের মধ্যে আমতলীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শুক্রবার সকালে সাহেব আলী গংদের মালিকানা জমির মাটি কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানা পুলিশের সহয়তা চাইলে তারা কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে মাটির কাজ শেষে ঘটনাস্থলে গেছে বলেও জানা যায়। এর আগে থানা পুলিশ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নোটিশ জারি করলেও প্রতিপক্ষ মিলন বয়াতি গংরা কোনো কর্ণপাত না করেই এ জমির মাটি কেটেছে।
জানা যায়, অবৈধ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এ জমির সীমানার শতবর্ষী গাছসহ প্রায় ৩২-৩৫টি বিভিন্ন জাতের গাছ কেটে বিক্রি করছেন মিলন বয়াতিরা।
ভুক্তভোগী সাহেব আলী গাজী জানান, গত ৮ মে তাদের পৈতৃক ভিটার গাছ কেটে ও জমি দখল করে অবৈধ রাস্তা নির্মাণ করা হয়। তিনি বলেন, আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় থানায় জিডি করে বাড়ি ফেরার পথে আমাকে বেধড়ক মারধর করে প্রতিপক্ষরা। পরে আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক এসব জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আহত সাহেব আলী জানান, আমতলী গ্রামের মকফের বয়াতির ছেলে মিলন বয়াতি, আব্দুর রশিদের ছেলে নয়া মিয়া, মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে শামসু মিয়া, মৃত মোহাম্মদ বয়াতির ছেলে মোহাম্মদ মোখলেছ, মৃত নুরুল হক খলিফার ছেলে জয়নাল আবেদীন ও আবদুল মান্নান জমাদ্দারের ছেলে কবির হোসেনের সাথে আগে থেকে আমার জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৮ মে দুপুরে আমার বাড়ির উঠানে বসে অহেতুক আমার ও আইউব আলীর সাথে তর্কবিতর্ক করার এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। এমন সময় আমার ভাই আইউব আলী প্রতিউত্তর করলে তারা আমাদেরকে পিটিয়ে আহত করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খলিলুর রহমান বলেন, মাটি কাটছে এমন অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পেয়েছি। নিষেধাজ্ঞা জারির পরে কেনো মাটি কেটেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আপনারা ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন।’


আরো সংবাদ



premium cement