২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভাণ্ডারিয়া পৌরসভায় ভোটার তালিকায় ২ শতাধিক মৃত!

-

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া পৌরসভায় দুই শতাধিক মৃত ব্যক্তিকে তালিকায় রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, এক ওয়ার্ডের ভোটারকে অন্য ওয়ার্ডের ভোটার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া তালিকায় রাখা হয়েছে একটি ইউনিয়ন পরিষদের আট শতাধিক ভোটারও। যারা ইতোমধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদে ভোট দিয়েছেন।
জানা যায়, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া ইউনিয়ন থেকে পৌরসভায় উন্নীত হয় ২০১৬ সালে। সে সময় তাড়াহুড়া করে সীমানা নির্ধারণ করায় ভোটার তালিকা প্রণয়নে সৃষ্টি হয়েছিল জটিলতা। এরপর গত ১৫ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে পৌরসভা নির্বাচনের জন্য পুনর্বিন্যাস করা সীমানা অনুযায়ী ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার লিখিত নির্দেশনা জারি করা হয়। ফলে মাত্র ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য একজন কর্মকর্তাকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেয়ারও নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। সে নির্দেশনা অনুযায়ী মাত্র চার কার্যদিবসেই ২২ মে নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে তা প্রকাশ করে উপজেলা নির্বাচন অফিস।
তড়িঘড়ি করে তালিকা হালনাগাদ করায় মাঠপর্যায়ে তাদের কর্মতৎপরতা তেমন লক্ষ করা যায়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটার বলেন, সরেজমিন বাড়ি বাড়ি না গিয়ে শুধু টেবিলওয়ার্ক করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করায় দুই শতাধিক মৃত ব্যক্তির নাম রয়ে গেছে নতুন এ তালিকায়। অন্য দিকে ইউনিয়নের ভোটার পৌর এলাকায় তালিকাভুক্ত করা ও এক ওয়ার্ডের ভোটারকে অন্য ওয়ার্ডভুক্ত করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে অসংখ্য। যার সংখ্যা প্রায় দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আরেক স্থানীয় ভোটার বলেন, কিছুদিন আগে নির্বাচন অফিস থেকে একটা খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। আমার চাচা, ভাই ও ভাতিজা মারা গেছে, তাদের নামও সে তালিকায় আছে। সেখানে এক ওয়ার্ডের ভোটারের নাম আরেক ওয়ার্ডের তালিকায় আছে। আমরা চাই নতুনভাবে সীমানা নির্ধারণ করে মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দিয়ে তালিকা করা হোক।
এদিকে বাড়িতে তথ্য সংগ্রহ না করার অভিযোগ নিয়ে পৌরসভার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা উপজেলা নির্বাচন অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন। তবে তার কোনো সুরাহা না করেই আবার একই তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন অফিস।
এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের পুনর্বিন্যাসকারী কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, ভাণ্ডারিয়া পৌরসভায় প্রায় ৫২ হাজার বাসিন্দা থাকলেও ভোটার রয়েছে ২১ হাজার। ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে ভান্ডারিয়া পৌরসভা ঘোষণা করা হলেও এখন পর্যন্ত সেখানে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে বাড়ি না গিয়ে তো তথ্য হালনাগাদের কোনো সুযোগ নেই।


আরো সংবাদ



premium cement