২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কোটচাঁদপুরে পাইকারি আমবাজারে বেচাকেনা জমজমাট

-


দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তর আমবাজার ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে জমজমাট বেচা-কেনা চলছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যে আম পরিপক্ব হয়েছে তা পেড়ে বাজারে আনতে পুরো দমে ব্যস্ত রয়েছেন চাষিরা। অন্য দিকে যে সব জাতের আম পরিপক্ব হতে সময় লাগবে আরো ২-৪ সপ্তাহ, সে সব জাতের আম ঝড়ের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কি না সে আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। এরই মধ্যে এ বছর দু’দিন দু’দফা মাঝারি ধরনের ঝড়ে যে পরিমাণ আম পড়েছে তাতে অনেক কৃষকের গাছের ৫০ ভাগ আম নষ্ট হয়েছে। বাকি আম জাত ভেদে পরিপক্ব হলেও তা বেঁধে দেয়া সময়ের আগে পেড়ে বাজারে আনার কোনো সুযোগ নেই। তথাপিও কিছু চাষি নিয়ম না মেনে আগাম আম পেড়ে বাজারে নিয়ে আসছেন। আর এসব আম রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তাড়াতাড়ি পাকিয়ে বেশি দামে কৃষকদের কাছ থেকে ফড়িয়ারা কিনে দেশের বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যাচ্ছে।
এ দিকে কোটচাঁদপুরের পাইকারি আম বাজারে ইতোমধ্যে জমজমাট বেচাকেনা চলছে। বাজারের আড়তে আড়তে শোভা পাচ্ছে শরিফা, গোবিন্দ ভোগ, গোপাল ভোগ, বোম্বাই থেকে এখন হিমসাগরও।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের তিনটি বৃহত্তর আমবাজার হলো ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর, সাতক্ষীরা ও রাজশাহী। ইতোমধ্যে ওই দুটি বাজারে আম উঠতে শুরু করেছে। ১০ মে সকাল থেকে আম সংগ্রহ শুরু করেছেন কোটচাঁদপুরের চাষিরা। এ বছর কোটচাঁদপুরে ৭০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। বাগানগুলো থেকে ১২ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান।
এ দিকে ২৮ মে ল্যাংড়া আর হাঁড়িভাঙ্গা, ৫ জুন আম্রপালি, ১০ জুন কাটিমন, বানানা আর মল্লিকা, ২০ জুন ফজলি, ২৫ জুন থেকে বিশ্বনাথ, আশ্বিনে ও বারি-৪ আম সংগ্রহ করা হবে।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর আমবাজারের সভাপতি সঞ্চয় সাহা বলেন, বাংলাদেশে তিনটি বড় আমবাজার রয়েছে। যার মধ্যে দ্বিতীয় বড় আমবাজার ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপর।
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান বলেন, গেল বছরের তুলনায় বাগানে আমের উৎপাদন ভালো হয়েছে এ বছর। ইতোমধ্যে আমরা বাগান পরিদর্শন করেছি। সে মোতাবেক আম সংগ্রহের দিনপঞ্জি বানিয়ে আড়ৎদারদের দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ উপজেলায় ১৭০০ বাগানে আমের চাষ হয়েছে। সব ঠিক থাকলে এ বছর ১২ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হতে পারে।

 


আরো সংবাদ



premium cement