২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভেজালে সয়লাব শেরপুরের বাজার

-

রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করতে আমরা যেসব মসলা ও খোলা তেল বাজার থেকে কিনে আনা হয় তার ৯০ ভাগই ভেজাল। অনুসন্ধানে দেখা গেছে মরিচ, হলুদ ও অন্যান্য গুঁড়া মসলায় ভেজাল মেশানোর এক ভয়াবহ চিত্র। শেরপুর পৌরশহরের বারদুয়ারি হাট এলাকায় মুজাহিদ মিল, বাবুর মিল ও আশরাফ আলীর মিলসহ বেশ কিছু মিলে মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও গুঁড়া মসলা ভেজাল করার যে চিত্র দেখা গেছে তা জানলে আতঙ্কিত হতে হয়। এসব মিলে প্রতিদিন মণকে মণ শুকনা মরিচ ভাঙানো হয় হলুদ ও গুঁড়া মসলা, যার পুরোটাই ভেজাল।
মুজাহিদ মিল ও বাবুর মিলে দেখা গেছে, মরিচে গুঁড়া, হলুদ ও গুঁড়া মসলার সাথে মেশানো হচ্ছে ইটের গুঁড়া, টেক্সটাইলের বিষাক্ত রঙ, ধানের কুড়া, পচা গম, পচা ভুট্টা। মুজাহিদ মিলের মালিক মুজাহিদ বলছেন, আমরা এই একটি মিল দিয়েই আটা, হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া ও গরু বা হাঁস-মুরগির খাবার গুঁড়া করি। সে কারণে এমনটি হয়ে থাকে। মরিচের গুঁড়ার দাম জানতে চাইলে তিনি চারশ’ টাকা কেজিতে বিক্রি করেন বলে জানান। তবে ভেজালের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে এটা স্বাভাবিক বিষয়। সবাই করে থাকে।
স্থানীয় মিলগুলো ঘুরে আরো দেখা যায়, বিএসটিআই, ট্রেড লাইন্সেস, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ছাড়াই তৈরি করা হচ্ছে মানুষ ও পশুর নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার। এসব মিল থেকে পাইকারদের মাধ্যমে এই ভেজাল মসলা চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন বাজারে এবং সবশেষে ভোক্তাদের খাবারের থালায়।
ভেজাল মসলা খেলে কী হয় : ভেজাল মসলা খেলে কি হয় এমন প্রশ্নে উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবার অযোগ্য উপাদান দিয়ে তৈরি করা খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে মতো কঠিন রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। এ ছাড়া ক্যান্সারের মতো মারণব্যাধিও হয়ে থাকে। অতিরিক্ত মাত্রায় এসব ভেজাল মসলা পেটে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ফুড পয়জনিংয়ের শিকার হওয়াটা একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা সুলতানা বলেন, আমি মাত্র কয়েক মাস হল বদলি হয়ে এখানে এসেছি। অচিরেই অভিযান চালানো হবে। ভেজালের সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।


আরো সংবাদ



premium cement