২ বছর ধরে বিদ্যুৎবঞ্চিত ১৫ পরিবার

শতভাগ বিদ্যুতায়িত করতে দু’বছর আগে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে বৈদ্যতিক লাইন স্থাপন করা হয়। খুঁটি হতে মিটার বোর্ড পর্যন্ত সার্ভিস তার টানা হয়েছে অনেক আগেই। গ্রাহকরা ঘরের ওয়্যারিং সম্পন্ন করেছেন। হোল্ডারে লাগিয়েছেন বৈদ্যুতিক বাল্ব। কিন্তু দুই বছর ধরে সংযোগ বিহীন ১৫টি পরিবার বাস করছে অন্ধকারে।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চিতলমারী জোনাল অফিস হতে সুরশাইল (ওয়াপদাপাড়া) গ্রামের দূরত্ব মাত্র দেড় থেকে দুই কিলোমিটার হলেও বিদ্যুতের এই সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। তাই এ পাড়ার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া এক প্রকার বন্ধ। শনিবার দুপুরে এমনটাই জানালেন চিতলমারী উপজেলার সুরশাইল ওয়াপদাপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা সাহেব আলী মীর, আশ্বাব আলী মোড়ল, মারুফ খান, মুর্শিদা বেগম ও মহিরোন বেগম। তারা আরো জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ান হেফাজ মোল্লাকে কয়েক দফায় প্রতি ঘর হতে তিন থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও মিলছে না বিদ্যুৎ সংযোগ।
এ ব্যাপারে হেফাজ মোল্লা বলেন, ওই টাকা ওয়্যারিংয়ের জন্য নেয়া হয়েছে। ওয়্যারিং সম্পন্ন করে দিয়েছে। ২০১৯ সালে ওই পাড়ায় বৈদ্যুতিক লাইনের কাজ শুরু হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সালাম ব্রাদার্স কাজটি পান। কিন্তু কাজটি করেন ইব্রাহিম নামে এক সাব ঠিকাদার। তারা কাজটি পুরোপুরি সম্পন্ন করেননি। এছাড়া স্থানীয় এক প্রভাবশালী কাজটি বাধা দেয়ায় ওখানের ১৫টি পরিবার দুই বছর ধরে বিদ্যুৎবঞ্চিত আছে। এজিএম ও জুনিয়র প্রকৌশলীকে অতি সত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি। আশা রাখি শিগগিরই বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন।