০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


শাহজাদপুরে ব্লকসহ দেবে যাচ্ছে যমুনা শাসন বাঁধ

-

নিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পূর্বাঞ্চলে ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যমুনা নদী শাসন বাঁধ স্থানে স্থানে ব্লকসহ দেবে গিয়ে তৈরি হচ্ছে গভীর খাদ। চলতি শুষ্ক মৌসুমে দ্রুত পদক্ষেপে না নিলে বর্ষা মৌসুমে প্রবল ভাঙনের সৃষ্টি হয়ে বাঁধের আরো বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে দাবি করছে গ্রামবাসী।
সরেজমিন ঘুরে স্থানীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার গালা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামটি উত্তর-দক্ষিণ দিকে লম্বা এবং একই দিকে যমুনা নদীও প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ওই গ্রামসংলগ্ন নদী শাসন বাঁধের কয়েকটি স্থান হঠাৎ করেই ব্লকসহ দেবে গিয়ে গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে। ডেবে যাওয়া স্থানে পানির গভীরতা প্রায় ৪০-৪৫ ফুট। কাশিপুর গ্রামসংলগ্ন স্থানে ভাঙনের প্রধান কারণ হলো গ্রামটির পূর্ব পাশে যমুনা নদীর বিশাল চর জেগে ওঠা। যে কারণে যমুনা নদীর প্রবাহ বাঁক ধরে সোজা দক্ষিণ-পশ্চিমমুখী হয়ে কাশিপুর গ্রামে এসে ধাক্কা খাচ্ছে। নদীর প্রবাহ দেখে বোঝার উপায় নেই যে, কখন কোন স্থান ডেবে যাবে? কাশিপুর গ্রামসংলগ্ন নদী শাসন বাঁধের যে কয়েকটি স্থানে ভাঙন ধরেছে তার যেকোনো একটি স্থান দিয়েও যদি যমুনা নদীর ভাঙন সৃষ্টি হয়, তবে ভাঙনের কবলে পড়বে কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুরাতন জামে মসজিদ, বিশাল কবরস্থানসহ পুরো কাশিপুর গ্রাম। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে গর্জোনা, হাড়িয়াকান্দা, গালা ও মারজান গ্রামটিও।
গ্রামের সাবেক মেম্বর খোদাবক্স আহম্মেদের ছেলে বদিউজ্জামান, জামিরতা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আবুল কালাম ও সাবেক মেম্বর সোলায়মান হোসেন কলেণ, মাঝে মধ্যেই কোনো কোনো অংশ ডেবে যাচ্ছে। তবে গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে হঠাৎ করে একটা ঘূর্ণিপাকের মতো হয়ে এখানটা ডেবে গেল।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৈটোলা, বেড়ার নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো: শামসুজ্জোহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগ হলো পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না এ মুহূর্তে তার জানা নেই। তবে তার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবগত করা হবে।া


আরো সংবাদ



premium cement