২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মিরসরাইয়ে দিন দিন বেপরোয়া মোটরসাইকেল চোরাই চক্র

-

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দিন দিন বেড়েই চলেছে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা। একের পর এক চুরির এসব ঘটনা ঘটলেও জড়িত কেউ শনাক্ত ও গ্রেফতার না হওয়ায় প্রশাসনকে দূষছেন স্থানীয়রা। বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কোথাও নিরাপদে মোটরসাইকেল রাখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বুক্তভোগীরা।
সূত্র জানায়, এলাকাভিত্তিক একাধিক সিন্ডিকেট এই চুরির সাথে জড়িত রয়েছে। চুরি করা মোটরসাইকেলগুলো নাম্বারপ্লেট পরিবর্তন করে আশপাশের উপজেলা ও দূরে কোথাও বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় দু-এক দিন পরপর মোটরসাইলের চুরির ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট, জোরারগঞ্জ, মিঠাছড়া, মিরসরাই সদর এলাকায় বেশি চুরি হচ্ছে। তারা জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বারইয়ারহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্বপ্নীল ভবন থেকে ফেমাস ডেকোরেটার্সের মালিক আবুল কালাম ফরিদের মোটরসাইকেল চুরি হয়। পরদিন জোরারগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ফরিদ। গত ৩১ ডিসেম্বর মিরসরাই সদরের গোভনিয়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আবছারের ঘরের বারান্দা থেকে গেট ভেঙে মিরসরাই বাজারের ব্যবসায়ী ইসমাইলের মোটরসাইকেলও চুরি হয়ে যায়। ১৮ ডিসেম্বর রাতেও জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকার মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলমের বাড়ি থেকে তার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন রুবেলের মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ছাড়া মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকার পোলট্রি ব্যবসায়ী এমরান, মিঠাছড়া নিচের বাজারের ফারুক হোসেন, এস এম লাইব্রেরির সামনে থেকে মাঈনুল হোসেন, জামশেদ মাস্টার, আলফা টেইলার্সের সামনে থেকে দিদারুল আলমের, পূবালী ব্যাংকের সামনে থেকে মীর হোসেন, ওয়ান ব্যাংকের সামনে থেকে মিজান মেম্বারের, পূবালী ব্যাংকের সামনে থেকে আকতার হোসেনের মোটরসাইকেল চুরি হয়।
ভুক্তভোগী মোয়াজ্জেম হোসেন রুবেল বলেন, আমাদের বাড়ির ভেতরে রাখা মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে। এরপর অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও আর পাইনি। গত দুই মাসে শুধু জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অনেক মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। একটিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মিরসরাই থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় থানায় খুব একটা অভিযোগ আসেনি। কিছু দিন আগে একটি অভিযোগ পেয়ে মঘাদিয়া এলাকায় একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। যদি ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।


আরো সংবাদ



premium cement