০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পঞ্চগড়ে গরুর হাটে ক্রেতার অভাব

লালমোহনে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

-

পঞ্চগড়ে করোনা গরুর ল্যাম্পিং রোগ ও বন্যাসহ নানা সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যে কোরবানির গরুর জমজমাট হাট বসলেও ক্রেতার দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যান্য বারের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগ ক্রেতাও এবার হাটে আসছেন না। প্রতি বছর পঞ্চগড়ের হাটবাজার থেকে গরু কিনে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়ে যেতেন বেপারিরা। কিন্তু এ বছর বেপারির তেমন একটা দেখা মিলছে না। অন্য বছর ঈদের আগের দিন ক্রেতারা কোরবানির গরু কিনতেন। এ বছর গরুর ল্যাম্পিং রোগের কারণে আতঙ্ক বিরাজ করায় ক্রেতারা তেমন একটা না আসায় গরুর খামারিরা দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছেন।
পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে জানা যায় গরুর খামারি ও গরু ব্যবসায়ীরা খুব দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন। ভালো দামের আশায় খামারিরা গরু লালন পালন করলেও এবার তাদের বড় ধরনের লোকসানের মুখোমুখি হতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কোরবানির দ্বার প্রান্তে এসে মোটামুটি দাম পাওয়া নিয়েও খামারিদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। ক্রেতারা এবার যে দাম বলছেন তা দিয়ে গরু বিক্রি করলে লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকাই উঠবে না।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রায় সাত হাজার খামারির প্রায় ৪৬ হাজার গরু রয়েছে। এর মধ্যে ২৯ হাজার ৭৪টি গরু এবং ১৬ হাজার ৩৪টি ছাগল। এ ছাড়াও আরো কয়েক হাজার গরু ছাগল সাধারণ কৃষকের ঘরে রয়েছে।
রাজনগর হাট ইজারাদার বলেন, গরু আমদানি মোটামুটি ভালো হলেও করোনাভাইরাস ও ল্যাম্পিং ডিজিজের কারণে গরুর হাটে ক্রেতা কম।
পঞ্চগড় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আবদুল মজিদ বলেন, কোরবানির জন্য জেলায় প্রায় ৪৬ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। এ জেলায় গরুর কোনো ঘাটতি হবে না।
এদিকে ভোলার লালমোহন উপজেলায় প্রায় ২০টি বাজারে বসছে কোরবানির পশুহাট। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলছে হাটগুলো। এতে দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে।
সরেজমিন লালমোহন, গজারিয়া, হরিগঞ্জ, চতলা বাজার, রায়চাঁদ, লর্ডহার্ডিঞ্জ, মঙ্গলসিকদার বাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারে পর্যাপ্ত গরু উঠেছে। তবে মহামারী করোনার কারণে অন্যান্য বছরের চেয়ে ক্রেতা অনেক কম। উপজেলার সব পশুহাটে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। বেশির ভাগ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। সীমিত পরিসরে ও সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুহাট পরিচালনার কথা থাকলেও কিছুই মানা হচ্ছে না এখানে।
তারা দুপুরের দিকে এসেছেন। হাটের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে লালমোহন উপজেলায় করোনা বলতে কিছুই নেই। এভাবে চলতে থাকলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা উপজেলার জন্য বিপজ্জনক। স্থানীয় সচেতনমহলের দাবি কর্তৃপক্ষ যেন বিষয়টি নজরে এনে পশুহাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যবস্থা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement