রংপুরে ভুয়া এমবিবিএস-এফসিপিএস চিকিৎসকচক্র বেপরোয়া
- সরকার মাজহারুল মান্নান রংপুর অফিস
- ০৯ জুলাই ২০২০, ০০:০০
কোনো ধরনের চিকিৎসা সনদ কিংবা সার্টিফিকেট নেই। দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন কনসালটেন্ট ও এমএমবিবিএস, এফসিপিএস ডিগ্রিধারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করে আসছিলেন মোতালেব হোসেন। পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন একটি ক্লিনিকেরও। গড়ে তুলেছিল একটি সিন্ডিকেট। চিকিৎসার নামে এতদিন সাধারণের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। গত সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে মোতালেবসহ সিন্ডিকেট চক্রের আরো দুইজনকে আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। মোতালেব নিজেকে এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন) এপি পরিচয় দিতেন। বয়স মাত্র ৩১ হলেও নিজেকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সাবেক কনসালট্যান্ট পরিচয় দিতেন। তিনি মেডিসিন, গ্যাস্ট্রোলোজি, এজমা, হাঁপানি, ডায়াবেটিস, হৃৎরোগ, বাত-ব্যথার চিকিৎসা করতেন। নিয়মিত চেম্বার করতেন রংপুর মহানগরীর ধাপ জেল সড়কের অনুমোদনবিহীন হিউম্যান কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
রংপুর কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান জানান, মোতালেব চিকিৎসার কিছু না জানলেও ভুয়া চিকিৎসা দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। রংপুরে এমন আরো চক্র আছে। আমরা অভিযান চালিয়ে ভুয়া চিকিৎসক মোতালেবসহ তার ক্লিনিকের মালিক মোস্তফা কামাল, ম্যানেজার তৌহিদ হোসেন ও ভুয়া চিকিৎসক তৌফিক ইসলাম রাফিকে আটক করেছি। তাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারেও অভিযান চলমান রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা