২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শৈলকুপায় জমে উঠেছে কাঁঠালের হাট

শৈলকুপায় পাইকারি হাটে বিক্রি হচ্ছে কাঁঠাল : নয়া দিগন্ত -

দেশের কাঁঠাল উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোর মধ্যে ঝিনাইদহের শৈলকুপা অন্যতম। এখানকার প্রতি হাটে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক কাঁঠাল যায় দেশের বিভিন্ন জেলায়। আগের দিনেই বেপারী, পাইকার, আড়তদাররা ভিড় জমান এখানকার হাটবাজারে। করোনা সঙ্কটেও গৃহস্থ ও কাঁঠাল ব্যবসায়ী, চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন। জেলার সবচেয়ে বড় শৈলকুপা উপজেলা সদরের হাটে কাঁঠাল বিক্রি করতে আসা হাতেমপুর গ্রামের চাষি মতিয়ার রহমান জানান, তার ১৫টি কাঁঠালগাছ রয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। তার গাছের প্রতি ১০০ পিস কাঁঠাল পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানান। কাঁঠাল ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানান, এবার প্রতি ১০০ পিস কাঁঠাল সাইজ অনুসারে দুই হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুণ্ড বলেন, শৈলকুপায় ৩৫০ হেক্টরের বেশি জমিতে কাঁঠালের চাষ হচ্ছে। এসব জমি থেকে পাওয়া যাবে আনুমানিক ৭০ হাজার টন কাঁঠাল।
গত বছরের চেয়ে কাঁঠালের পাইকারি বাজারে দাম শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ কম বলে বেপারীরা জানায়। শৈলকুপা হাটে সপ্তাহে প্রায় ৪০ লাখ টাকা মূল্যের কাঁঠাল কেনাবেচা হচ্ছে। প্রতি মাসে এ হাটে আনুমানিক কোটি টাকার কাঁঠাল কেনাবেচা হয়ে থাকে।
কাঁঠাল এমন একটি ফল যার কোনো অংশই বাদ হয়ে যায় না। কাঁচা কাঁঠাল রেধে খাওয়া যায়, পাকা খাওয়া যায়। পাকা কাঁঠাল দিয়ে হরেক রকম পিঠা তৈরি করা যায়। কাঁঠালের বিচি রেধে খাওয়া যায়। এ ছাড়ার এর বাকল গরু-ছাগল খায়। বাংলা উইকিপিডিয়া থেকে সংগৃহিত কাঁঠালের পুষ্টিগুণের মধ্যে রয়েছে কাঁঠালে আছে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিমাম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং নায়াসিন। এ ছাড়াও কাঁঠালে রয়েছে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন যা মানবদেহের জন্য বিশেষ উপকারী।
এত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলটি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হলেও নেই কোনো সংরক্ষণের ব্যবস্থা। এই ফলটি যদি সংরক্ষণ করা যেতো তাহলে বছরের অনেক সময়ই গ্রীষ্মকালীন এই ফলটি মানুষ খেতে পারত। কাঁঠাল চাষি ও ব্যবসায়ীদের দাবি এ অঞ্চলে সরকারি বা বেসরকারিভাবে কাঁঠাল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হোক।


আরো সংবাদ



premium cement