দর্শনায় নজর কেড়েছে মামা-ভাগ্নের আঙ্গুর বাগান
- মনিরুজ্জামান সুমন দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা)
- ০৩ জুলাই ২০২০, ০০:০০
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় আঙুর চাষে সফল হয়েছেন মামা-ভাগ্নে। অল্প জমিতে আঙুর চাষ করে বেকারত্ব ঘুচিয়ে তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প আশার সঞ্চার করেছে এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকদের মধ্যে। মামা আমিরুল ইসলাম ও ভাগ্নে তরিকুল ইসলামের আঙ্গুর বাগান দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন অনেক লোক।
আঙুর চাষি আমিরুল ইসলাম জানান, এক বছর আগে তিনি ভারতের মেঘালয়ের নাছিকের আঙুর বাগানে চাষের প্রণালী সম্পর্কে জানেন। নিজ পরিবার ও ভাগ্যর চাকা ঘোরানোর কথা ভেবে ভারতের কলকাতার এক ট্রাক চালকের মাধ্যমে ২৫-৩০টি আঙুরের চারা কিনে দর্শনা স্থলপথে দেশে নিয়ে আসে। চার দিন সংরক্ষণ করে গাছগুলো রোপণ করেন তার পাঁচ কাঠা জমিতে। স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতা চাইলে তিনি বাগানে আসেননি। পরবর্তীতে চারটি আঙুর গাছের চারা মারা যায়। এরপর তিনি কৃষিতে অভিজ্ঞসম্পন্ন ভাগ্নে তরিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে নিজেদের প্রচেষ্টায় আঙুর গাছগুলো পরিচর্চা শুরু করে। ছয় মাস পর কয়েকটি গাছে কিছু আঙুর ফল আসে। অল্প ফল ধরায় হতাশ না হয়ে ভারতীয় আঙুর চাষির পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবার পরিচর্চা শুরু করে। এ বছর আঙুর গাছের মাচাই গাছগুলোর ডালে ডালে থোকায় থোকায় আঙুরে ভরে গেছে। আঙুরের পরিপক্বতা এসেছে পাকা আঙুরগুলো মিষ্টতা পাচ্ছে। আঙুরের একটি গাছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ কেজি আঙুর পাবে বলে আশা করছে চাষিরা। দুই বিঘা জমিতে আঙুর চাষ করতে চারা কিনে পরিচর্চা শেষে ফল পাওয়া পর্যন্ত খরচ হবে মাত্র এক লাখ টাকা। ফলন ভালো হলে বছর শেষে প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা আঙুর বেচতে পারবে চাষিরা। আঙুর চাষে বেকার যুবকরা এগিয়ে এলে তার বেকারত্ব ঘুচবে।
মামা-ভাগ্নের আঙুর চাষে সফলতার খবর শুনে দর্শনায় আঙুর বাগানে ছুটে আসেন দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, মামা-ভাগ্নের বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষে সার্বিক সহযোগিতা করবেন কৃষি অফিস।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা