১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


একজন ডাক্তার দিয়ে চলছে মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

-

মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৯ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও রয়েছেন মাত্র চারজন। তাও আবার কাগজে কলমে। বাস্তবে হাসপাতালটি চলছে মাত্র একজন মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে। এতে করে সরকারি চিকিৎসাসেবা থেকে দারুণভাবে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার ছয় লক্ষাধিক মানুষ।
জানা গেছে, যমুনেশ^রী, আখিরা ও ঘাঘট নদী দ্বারা বেষ্টিত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এ উপজেলার চিকিৎসাবঞ্চিত মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালটি চালু করলেও ডাক্তারের অভাবে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত উপজেলার জনগণ। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে শুধু একজন মেডিক্যাল অফিসার প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা ২০০ থেকে ৩০০ রোগীকে দেখে থাকেন। তাদের মধ্যে ভর্তি হন ৩০ থেকে ৩৫ জন। চিকিৎসক না থাকায় উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসার (সেকমো) দিয়ে কোনো রকমে চালানো হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন থাকলেও সেগুলো অচল। দু’টি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও অবহেলা আর অযতেœ নষ্ট হয়ে আছে একটি। দু’জন ফার্মাসিস্টের একজনও নেই ২০১১ সাল থেকে। জুনিয়র কলসালট্যান্ট মেডিসিন, জুনিয়র কলসালট্যান্ট গাইনি, জুনিয়র কলসালট্যান্ট সার্জারি, জুনিয়র কলসালট্যান্ট শিশু, জুনিয়র কলসালট্যান্ট অ্যানেসথেসিয়া এসব পদ কাগজ-কলমে থাকলেও বাস্তবে রোগীরা তাদের দেখা পাননি কোনো দিন।
বর্তমানে হাসপাতালটিতে ইউনিসেফের ‘গর্ভবতী মা ও শিশু নামে’ একটি কর্মসূচি চালু থাকলেও চিকিৎসক না থাকায় সেটির অবস্থা নড়বড়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একমাত্র চিকিৎসক হিসেবে হাসপাতালটির ভরসা হলেও অফিসিয়াল কাজে তাকে ব্যস্ত থাকতে হয়। ফলে ডাক্তারের অভাবে হাসপাতালটি নিজেই এখন রোগী।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: হিরম্ব কুমার জানান, ৯টি পদ থাকলেও বর্তমানে চারজন কর্মরত রয়েছেন। এই চারজনের মধ্যে একজন ঢাকায় থাকেন এখানে আসেন না। দু’জন সম্প্রতি চলে গেছেন, বর্তমানে তিনি একাই হাসপাতালে আছেন। তার ওপর প্রশাসনিক কাজ তো রয়েছেই।

 


আরো সংবাদ



premium cement