০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দৌলতদিয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের অপেক্ষায় লঞ্চ ও ফেরি

-

রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ-ছয় হাজার যানবাহন ও যাত্রী নদী পারাপার হয়। আর ঈদ মৌসুমে এই রুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এবারো খুব একটা ব্যতিক্রম ছিল না। তবে তা মাত্র দুই দিনের জন্য। ঈদের ছুটি শেষে গ্রামে আসা মানুষ ইতোমধ্যে ফিরে গেছে রাজধানীতে। তাই কর্মচঞ্চল দৌলতদিয়া ঘাট এখন তাই অনেকটাই ফাঁকা।
বুধবার সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের অপেক্ষায় দীর্ঘসময় পর্যন্ত বসে থাকতে দেখা গেছে ১৬টি লঞ্চ ও ৯টি ফেরিকে। অল্পসংখ্যক যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে সকাল থেকে কয়েক ট্রিপ লঞ্চ ও ফেরি চলেছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ রনি জানান, যানবাহন ও যাত্রীর চাপ একেবারেই কম। তারপরও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে ৯টি ফেরি চলাচল করছে। আরো পাঁচটি ফেরি ঘাটে নোঙর করে রয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের লঞ্চ মালিক সমিতির সুপারভাইজার মিলন হোসেন বলেন, দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় এই রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় লঞ্চ মালিকদের অনেক লোকসান হয়েছে। বর্তমানে ১৬টি লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রীদের জন্য ঘাটে জীবাণুনাশক স্প্রে, সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, ঘাট এলাকা ও ফেরিতে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। তবে মানুষকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। আর মানুষ ইতোমধ্যে অনেক সচেতনও হয়েছে। তাই মানুষ ফেরি ও লঞ্চে গাদাগাদি হয়ে পার হচ্ছেন না। এ ছাড়াও অনেকে কর্মস্থলে সহজে যেতেও চাচ্ছেন না।


আরো সংবাদ



premium cement