০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


করোনা ঝুঁকি নিয়েই সেবা দিচ্ছেন নওগাঁর কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা

-

শহরের মানুষগুলো গ্রামে ফিরে যাওয়ায় রোগীর চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সাথে করোনা আতঙ্ক মাথায় নিয়েই নিরাপত্তাহীনভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নওগাঁর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর (সিসি) কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)। তাদের করোনা বিষয়ে নিরাপত্তা বিধানে অপরাগতা প্রকাশ করছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে সিএইচসিপিদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জানা যায়, প্রতিটি সিসিতে রয়েছে একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)। তারা বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা: আখতারুজ্জামান আলাল জানান, জেলায় ১১টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ৯৯টি ইউনিয়নে ৩০১টি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। ১১টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭৩ জন ডাক্তার ও ২৩২ জন নার্স আছে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই), মাস্ক ও গ্লাভস এক হাজার ১৪০ পিস করে ও হেক্সাসল ১৬৫ পিস দেয়া হয়েছে। এসব উপকরণের মধ্যে সিএস অফিসে ১৪০ পিস পিপিই ও ৫০ পিস মাস্ক রেখে বাকিগুলো সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য কোনো উপকরণ বরাদ্দ রাখা হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তও নেয়া হয়নি।
সদর উপজেলার নামানুরপুর গ্রামের যুবক শফিক বলেন, তিনি ঢাকায় থাকতেন। গত ১০ দিন আগে বাড়িতে আসার পর জ্বর ও সর্দিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনেক দূর হওয়ায় বাড়ির পাশে কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নামানুরপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি কামরুল হাসান বলেন, করোনা আতঙ্কের পর সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ডিউটি দেয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকার জ্বর, সর্দি, কাশিসহ অন্য রোগীর সেবা দিতে হয় আমাদের। আগে প্রতিদিন যেখানে ৩০-৩৫ জন রোগী হতো। এখন সেখানে ৫০-৬০ জন রোগী দেখতে হচ্ছে। এ মুহূর্তে ওষুধও সঙ্কটে পড়েছে। ঢাকা ফেরতরাও হোম কোয়ারেন্টিন থাকতে বলা হয়েছে। এখন কে ঢাকা থেকে গ্রামে আসছে সেটা আমরা বুঝতেও পারব না। চিকিৎসা দিতে গিয়ে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এখন পর্যন্ত আমাদের সুরক্ষা ব্যবস্থার কোনো সরঞ্জাম দেয়া হয়নি।
নওগাঁ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপজেলায় ৩১টি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। সিসিতে কর্মরত সিএইচসিপিরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাদের নিরাপত্তা সামগ্রী দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার তাগাদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
নওগাঁ ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মো: মনজুর-এ-মুর্শেদ বলেন, প্রকারভেদে বিভিন্ন অসুস্থ রোগী দেখার জন্য সরকার থেকে একটা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডাক্তার হলেই যে পিপিই ব্যবহার করতে হবে এমন কথা না। আর সে নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করছি। সর্দি-কাশি রোগীদের জন্য আলাদা কর্নার করা হয়েছে। তবে এসব রোগী দেখার জন্য আপাতত নিরুসাহিত করা হচ্ছে। তাদের জন্য অনলাইন বা ফোনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সিএইচসিপিরা চিকিৎসা দিতে গিয়ে কিছুটা ভয় করছেন। কিন্তু ভয় পেলেও আমাদের কিছু করার নাই। সরকার থেকে নির্দেশনা না দিলে আমরা তাদের জন্য কিছু করতে পারব না।

 


আরো সংবাদ



premium cement
চলচ্চিত্রে সমস্যা ও উত্তরণে গোলটেবিল বৈঠক হ্যাটট্রিক হারে সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশে বন্ধ হলো সেই বিলের মাটি কাটা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় বৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া উখিয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশী ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে জামায়াতের উদ্বেগ এমপি-মন্ত্রী-সচিবের আত্মীয় এগুলো দেখার প্রয়োজন নেই : ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ইসি সচিব বগুড়ায় শজিমেক ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১৩ স্বর্ণের দাম ভরিতে আরো কমলো ১৮৭৮ টাকা গাজায় হামাস যোদ্ধা ও ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ চান্দিনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

সকল