২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নেত্রকোনায় আবর্জনার দুর্গন্ধে নাকাল পৌরবাসী

নেত্রকোনা শহরের বড় বাজার বাইপাস সড়কে গড়ে ওঠা আবর্জনার ভাগাড় : নয়া দিগন্ত -

করোনা থেকে রক্ষায় পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মধ্যেও নেত্রকোনা জেলা শহরে আবর্জনার দুর্গন্ধে নাকাল হয়ে পড়েছেন পৌরবাসী। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমনটি হচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তবে কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, নির্ধারিত স্থানে ময়লা ফেললে এমন পরিস্থিতি হবে না। এ দিকে আবর্জনার কারণে শহরের বাসিন্দারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন।
জানা যায়, শহর পরিচ্ছন্নতার জন্য পৌরসভার একাধিক গাড়ি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী থাকার পরও পৌর কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের তদারকি ও দায়িত্বে অবহেলায় পৌর এলাকা দুর্গন্ধময় হয়ে উঠেছে। শহরের বেশির ভাগ এলাকা দিয়ে চলাচলই এখন দায় হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মালনী রোডের পুরনো লঞ্চঘাট, কাটলী ব্রিজ, শিবগঞ্জ রোড, বড় পুকুরপাড়, অজহর রোড, বড় বাজার বাইপাস সড়ক, উকিলপাড়া ও মালগুদামসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপ দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও মাছের বাজারসহ বিভিন্ন স্থানের বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া পিকআপ ভ্যান দিয়ে প্রতিদিন সকালে সরাসরি মগড়া নদীতেও ময়লা ফেলা হচ্ছে। এসব ময়লা-আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার না করায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। ওই সব এলাকার বাসিন্দারা নাকে রুমাল চেপে রাস্তায় চলাচল করছেন।
শহরের প্রাণকেন্দ্র জনবহুল বড় বাজারের বাইপাস সড়কে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পৌরসভা পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধ ও প্রতিবন্ধকতার কারণে ওই রাস্তায় চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পৌরবাসী।
কয়েক দিন ধরে প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতামূলক ব্যাপক প্রচারণা চালালেও এখনো ঘুম ভাঙেনি পৌর কর্তৃপক্ষের। গত রোববার পৌরসভা কর্তৃক শহরের অভ্যন্তরে সীমিত পর্যায়ে লোক দেখানো মশক নিধনের ওষুধ স্প্রে করা হলেও বেশির ভাগ এলাকায় কেউ খোঁজখবরও নেয়নি। বড় বাজার এলাকার আব্দুস সালাম, সোহরাব উদ্দিন ও পেয়ারা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা বর্ধিত হারে নিয়মিত পৌর কর পরিশোধ করে আসছি। তা সত্ত্বেও পৌর এলাকা পরিচ্ছন্ন হচ্ছে না। দুর্গন্ধে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি। আমরা এ অবস্থা থেকে মুক্তি চাই।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল হেলিম বলেন, শহরবাসী নির্ধারিত স্থানে ময়লা না ফেলে যত্রতত্র ময়লা ফেলায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চার দিন আগে পাঁচ ট্রাক ময়লা পরিষ্কার করার পরও কে বা কারা রাতে রাস্তার ওপর ময়লা ফেলে যায়। আমি সেনেটারি ইন্সপেক্টরকে বলে দিয়েছি ময়লাগুলো দ্রুত অপসারণ করার জন্য।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলিম আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে বলার কিছু নেই। জনসচেতনতার অভাবেই এ অবস্থা। এ ছাড়া পৌরসভার লোকবলের সঙ্কটের কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও পরিষ্কার করতে দেরি হচ্ছে। নির্ধারিত স্থানে ময়লা ফেললে আমাদের কাজ সহজ হয়। এতে শহরও পরিষ্কার থাকে।


আরো সংবাদ



premium cement