২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


তাহিরপুরে লম্পট আটকের ৮ দিনেও কোনো পদক্ষেপ নেই

-

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চাইনিজ কুরালসহ সিহাব সরোয়ার শিপু নামের মাদকাসক্ত এক লম্পটকে আটকের পর আট দিন পেরিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি আইনগত কোনো পদক্ষেপ। সংশ্লিষ্ট কলেজ অধ্যক্ষ, ম্যানেজিং কমিটি ও পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা এমন অভিযোগ উঠায় ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকসহ সবার মধ্যে বিরাজ করছে তীব্র ক্ষোভ।
ছাত্রছাত্রী ও এলকাবাসী জানান, গত সপ্তাহের বুধবার চুনাপাথর খনি প্রকল্প মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করে শিহাব। এ সময় এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মিতুন প্রতিবাদ করলে কলেজের ভেতরই তার ওপর চাইনিজ কুরাল নিয়ে হামলা চালায় সে। এ সময় কলেজশিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে শিপুকে চাইনিজ কুরালসহ আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৪টায় সালিস বসে। কিন্তু সালিসের মাধ্যমে সমাধান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ লম্পট শিপুকে চাইনিজ কুরালসহ টেকেরঘাট ক্যাম্পের পুলিশ হেফাজতে দেয়। পরদিন বিকেলে আবার সালিস বসে সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে লম্পট শিপুকে গোপনে তার মা বাদাঘাট ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মনোয়ারা বেগমের হেফাজতে দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু ঘটনার সাত দিন পেরিয়ে গেলেও হয়নি কোনো সালিস এবং নেয়া হয়নি আইনগত কোনো পদক্ষেপ। অথচ লম্পট শিপুর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এর আগে ইয়াবা ও পিস্তলসহ শিপুকে র্যা ব ও সিলেট রেল পুলিশ গ্রেফতার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজিবি স্কুল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ছাত্রীদের স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করার অপরাধে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় থেকেও শিপুকে বহিষ্কার করা হয় বলে ছাত্রছাত্রীরা জানান।
এ ব্যাপারে স্কুলসংলগ্ন টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মুসা বলেন, চাইনিজ কুরালসহ শিপু নামের একজনকে আটক করার বিষয়টি জানতে পেরেছি কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে অস্ত্র জমা দেয়নি এবং লিখিত কোনো অভিযোগও করেনি।
চুনাপাথর খনি প্রকল্প মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ খাইরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সালিসের মাধ্যমে শিপুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ দিকে সালিসের মাধ্যমে সমাধানের কথা বলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছেন কলেজের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকসহ এলাকার শান্তিপ্রিয় সবাই।

 


আরো সংবাদ



premium cement