১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


কেশবপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষকে দিগম্বর করে নির্যাতন : বিচার দাবি স্ত্রীর

-

কেশবপুরের ত্রিমোহিনী দারুল ইসলাম ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গফুরকে (৫৫) প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে একটি ঘরের মধ্যে আটকিয়ে দিগম্বর করে হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ঘণ্টাব্যাপী কাঠ ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধরে আহত করার ঘটনায় তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন গত ১৬ মার্চ কেশবপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এ ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছে ত্রিমোহিনী ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগের যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে গত ১৯/০১/১৭ তারিখে নিয়োগকৃত শিক্ষকেরা যোগদান করেন। ওই নিয়োগের ঘটনায় চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। ওই টাকা না দেয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন এমন নির্যাতন করেন। এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলার এক আসামি ত্রিমোহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারনিক সামছুর রহমানকে (৪০) পুলিশ আটক করেছে। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন। তিনি বলেন, মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগের পর থেকে ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান, সামছুর রহমান, মেম্বার আবুল কাশেম মোড়ল গং বিভিন্ন সময়ে নিয়োগের কারণে সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। ওই টাকা না দেয়ায় গত ২৪/০২/১৯ তারিখে অধ্যক্ষকে ইউপি চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত করাসহ নিয়োগকৃত শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আব্দুল কাদির বিশ্বাসকে মারধর করেন। এ ঘটনার পর থেকে অধ্যক্ষ ওই চেয়ারম্যানের ভয়ে পালিয়ে মাদরাসায় যাতায়াত করে আসছিলেন। গত ১২/০৩/১৯ তারিখ সকাল ৯টার দিকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে মির্জানগর হাম্মামখানার সামনে পৌঁছলে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গফুরকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে এলাকার তজিবর রহমানের বাড়িতে আটকিয়ে হাত-পা দড়ি দিয়ে এবং চোখ-মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এরপর গুরুতর আহতাবস্থায় ফেলে রেখে বাঁধন খুলে দিয়ে চেয়ারম্যানসহ সবাই চলে যান। এরপর আহত অধ্যক্ষ এলাকাবাসীর সহায়তায় কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ঘটনায় ১৪ মার্চ থানায় দোষীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। যার নম্বর-১৩। এ মামলা ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য ওই চেয়ারম্যান নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে চলেছেন। এ দিকে ইউপি চেয়ারম্যানের নামে মামলা হলেও তিনি আটক হননি। যে কারণে ওই চেয়ারম্যান বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে চলেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গফুরের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান নয়া দিগন্তকে জানান, অধ্যক্ষকে মারধরের বিষয়টি আমি জানি না। আর যে বাড়িতে তাকে মারধর করা হয়েছে সে রাস্তা দিয়ে ওই চেয়ারম্যান যাতায়াত করেন না। তাহলে ওই রাস্তা থেকে তাকে কিভাবে ধরে নির্যাতন করা হলো? অপর এক প্রশ্নে চেয়ারম্যান জানান, তাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে কি না জানি না। তবে মাদরাসায় সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কয়েক ব্যক্তি অধ্যক্ষের সাথে কথাবার্তা বলেছেন বলে শুনেছি। তা ছাড়া তাকে মারধর করা বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে এটা মিথ্যা অভিযোগ।


আরো সংবাদ



premium cement
রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ আজ ভারতীয় শ্রমিকরা ইসরাইলি সৈন্যদের ছাউনি, ফিলিস্তিনিদের বন্দীশালা নির্মাণ করছে! বরের বয়স ১০০, কণের ৯৬! সিনেমার গল্পকেও হার মানানো প্রেমকাহিনী কোহলির দুরন্ত ইনিংস, পাঞ্জাবকে হেলায় হারাল বেঙ্গালুরু আত্মসম্মানে আঘাত, অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন রাহুল! দেড় বছর পর ভারতে রাষ্ট্রদূত পাঠাচ্ছে চীন চলতি বছরেই শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অস্ত্রের চালান স্থগিত, যুক্তরাষ্ট্রকে যা বলল ইসরাইল রাফায় বড় অভিযান চালিয়েও হামাসকে হারানো সম্ভব নয় : হোয়াইট হাউস দুর্নীতির স্বর্ণরেণু, বিন্দু থেকে যেভাবে সিন্ধু মিসরে মুসলিম ব্রাদারহুডের ভবিষ্যৎ

সকল