২৪ মে ২০২৪, ১০ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলকদ ১৪৪৫
`

সূর্যমুখীর আঙ্গিনা থেকে

-

ফরিদপুর শহরের অদূরেই ডোমরাকান্দি গ্রাম। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক। এই সড়কের পাশেই নজরকাড়া সূর্যমুখীর হলুদ আঙ্গিনা। বাতাসে দোল খাওয়া এই সূর্যমুখী দেখে পাশ দিয়ে ছুটে চলা যে কেউ আন্দোলিত হবেন। শীতের কুয়াশা ঠেলে সূর্য উঁকি দিতেই আড়মোড়া ভেঙে এই সূর্যমুখীর জেগে উঠা। আর সেই ফুলেল হাসিতে নিজেদের বৈকালীন সময় কাটাতে শত মানুষের এখানে ছুটে আসা। সূর্যের দিকেই হাজারো ফুলের এই মুখিয়ে থাকার এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে নিজেকে সেলফি বন্দী করার লোভ সামলানো দায়।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) তত্ত্বাবধায়নে বীজ ভবনের নিজস্ব জমিতেই তৈরি হয় এই সূর্যমুখী বাগান। শুধু বীজ সংগ্রহের জন্যই প্রায় একযুগ ধরে এখানে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী। দুই একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই খামারি সূর্যমুখী থেকে সারা দেশের ‘ডাল তেলবীজ’ খামারে বীজ সরবরাহ করা হয়।
লম্বায় তিন মিটার সূর্যমুখী গাছে ১২ সেন্টিমিটারের সূর্যমুখী ফুল। একটা ফুল থেকে ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম বীজ পাওয়া যায়। এই বীজ থেকে ৪৫০-৪৬০ লিটার তেলের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এখানে বীজ বপন করা হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে পাকা বীজ তুলা হবে এই ক্ষেত থেকে। একে ক্ষেত না বলে বাগান বলাই ভালো। কারণ বাগানে যেমন ‘মালি’ থাকে, তেমনি এখানে সারাক্ষণ কাজ করেন মালি এনায়েত হোসেন। ১১ বছর ধরে তিনি এ বাগান পরিচর্যায় নিয়োজিত। বাঁশের তৈরি চোঙ নিয়ে অদ্ভুত শব্দ করে পাখি তাড়াতে ব্যস্ত তিনি। পাখি তাড়ানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সূর্যমুখীর বাগানে পাখিদের উৎপাত বেশি, ওরা ফুল নষ্ট করে; গাছ ভেঙে ফেলে।
আনুমানিক ২০ হাজার সূর্যমুখী ফুলের এই হলুদ গালিচায় সকাল থেকে মৌমাছি গুঞ্জন আর পাখিদের কোলাহলে মুখরিত থাকলেও দিন বাড়ার সাথে সাথে বেড়ে যায় মানুষের আনাগোনা। প্রতিদিনই সূর্যমুখী ফুলের এই হলুদ হাতছানিতে শামিল হয় শত শত তরুণ-তরুণী। জাহিদুল ইসলাম অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বন্ধু মহিউদ্দিন, সবুজ, জ্যোতি ও আহাদের সাথে ঘুরতে এসেছে এখানে। জাহিদুল বলেন, ‘এত বড় সূর্যমুখী ক্ষেত দেখে অনেক ভালো লাগল।’
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, এখানে সরকারি উদ্যোগে সূর্যমুখীর চাষ হয়। সূর্যমুখী চাষে লাভবান হতে পারেন কৃষক। এ অঞ্চলের কৃষকরা যাতে রবিশস্য হিসেবে সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয় সে জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
হাজারো সূর্যমুখীতে সুশোভিত এই হলুদ আঙ্গিনায় মুগ্ধতার হাতছানি। অপার সৌন্দর্যের এই সূর্যমুখী দেখে মন ভরে উঠে হাজারো প্রকৃতিপ্রেমীর। বেলা গড়িয়ে দিনের সূর্য হারিয়ে গেলে সূর্যমুখীরা শুধু ঘাড় বাঁকাই করে না, চোখ বুুজে ঘুমিয়ে পড়ে কুহেলি রাতের কোলে।
ফরিদপু


আরো সংবাদ



premium cement
রাফায় হামলা বন্ধে আইসিজের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা জৈন্তাপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৭ জন আহত আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা নতুন নিয়মে হবে : শিক্ষামন্ত্রী রাফায় যুদ্ধ বন্ধের নির্দেশ আইসিজের : যা বললেন ইসরাইল সবার শেষে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা পাকিস্তানের ‘খুশী যতক্ষণ থানায় ছিল নিজের সন্তানের মতো যত্ন করেছি’ আদালতের কর্তব্য হচ্ছে সকল বিচার প্রার্থীর ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা : প্রধান বিচারপতি আইসিজের রায়কে স্বাগত জানালো হামাস এবার জাতীয় নির্বাচনে আমাদের লোকেরাও ভোট দিতে যায়নি : বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর নিতে বগুড়ায় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুন্না দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছুটে চলেছে শিশু! ফেসবুকে ভাইরাল

সকল