০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পশ্চিমবঙ্গে স্কুল ছাত্রীদের পোশাক খোলা বিতর্কে তদন্তের নির্দেশ

- প্রতীকী ছবি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শান্তিনিকেতনের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পোশাক খুলে শাস্তি দেওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসল প্রশাসন।

বুধবার সকালে ওই স্কুলটি পরিদর্শন করতে যায় শিশু সুরক্ষা প্রতিনিধি দল। ওই প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন জেলা শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা নিরুপম সিনহা, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন শাশ্বতী সাহাও। এছাড়া মহকুমা প্রশাসকের এক প্রতিনিধি পরে বৈঠকে যোগ দেন।

অভিযোগে জানা যায়, সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনই স্কুলে রঙিন ড্রেস পড়ে আসায় শ্রেণী শিক্ষিকার রোষের মুখে পড়ে একদল খুদে শিক্ষার্থী। আর ছাত্রীদের রঙিন ড্রেস পড়ে আসার জন্য উচিত শিক্ষা দিতে ছাত্রীদের প্যান্ট খুলে নিয়ে নেওয়া হয়। এমনকি ওই অবস্থাতেই তাদের ক্লাস করাতে বাধ্য করেন ওই শিক্ষিকা।

মঙ্গলবার ড্রেস কোড না মানার অজুহাতে ছাত্রীদের নিম্নাঙ্গের পোশাক খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ওই ইংরেজি মাধ্যম বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে। ওই স্কুলের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় গেলেও প্রিন্সিপাল ‘সরি’ বলায় অভিযোগ দায়ের করেননি অভিভাবকরা।

কিন্তু ছাত্রীরা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতেই অভিভাবকরা দেখেন, তাদের পরনে নিম্নাঙ্গের পোশাক বা লেগিংস নেই। জিজ্ঞাসা করলে ছাত্রীরা জানায়, স্কুলে সেগুলি খুলিয়ে জমা নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিভাবকদের পাল্টা যুক্তি, ‘স্কুল ড্রেস নিয়ম মাফিকই পড়ানো হয়েছে। কিন্তু ঠান্ডা পড়েছে বলে তার সঙ্গে লেগিংস পরানো হয়েছে। তাই বলে প্যান্ট খুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে? এ কেমন বিষয়!’ মঙ্গলবার স্কুল অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।

অভিভাবক রাজেশ শর্মা জানিয়েছেন, 'দুপুর দু’টোর সময় বাড়ি ফিরে ঘটনাটি জানতে পারি। আমার মেয়ে ওই স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলের ইউনিফর্মের সঙ্গে পায়ে লেগিংস পরেছিল। স্কুলে তা দেখে একের পর এক বাচ্চাকে বকাবকি করা হয়। ওদের প্যান্ট খুলে দিতে বাধ্য করা হয়। আমি এই নিয়ে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ জানাতে যাই। কিন্তু স্কুলের প্রিন্সিপাল ‘সরি’ বলার পর, আমি লিখিত অভিযোগ করিনি। এটা ডিসিপ্লিন লঙ্ঘন করা নয় কোনও মতেই।'

তবে একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে হওয়া এমন ঘটনার খবর প্রকাশ হতেই অভিভাবকরা এ দিন একজোট হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে প্রতিবাদ জানান।

তারা দাবি করেন, প্রয়োজনে ড্রেসকোড নিয়ে প্রয়োজনীয় নোটিস দিক স্কুল কর্তৃপক্ষ। চাপের মুখে পড়ে ঘটনার কথা স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে অসুবিধার জন্য অভিভাবকরা নতুন প্রিন্সিপালের বদলে পুরনো প্রিন্সিপালকে ফিরিয়ে আনার দাবি করতে থাকেন। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন ন্যক্কারজনক পদক্ষেপের নিন্দা উঠেছে সর্বস্তরে। এই সময়।


আরো সংবাদ



premium cement