১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


মাশরাফিদের এবার কার্ডিফ মিশন

-

বিশ্বকাপের উত্তাপ শুরু হয়ে গেছে। আইসিসির সব প্রস্তুতিও শেষ। এবার দলগুলো তাদের জন্য নির্ধারিত প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভেনুতে যাচ্ছে। লেস্টারশায়ার ছেড়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে কার্ডিফে। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ তাদের সেখানেই। আগামী ২৬ মে প্রথম ম্যাচে খেলবে তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচ ২৮ মে। সেটার প্রতিপক্ষ উপমহাদেশের আরেক দল ভারত। মূলত এ ম্যাচ খেলার মধ্যদিয়েই ঢুকে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের মেগা আসরে। অবশ্য বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ শুরু আজ থেকেই। ব্রিস্টলে আজ পাকিস্তান খেলবে প্রথম ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আজ আরো একটি ম্যাচ রয়েছে। সেটা দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। এ ম্যাচটা হবে কার্ডিফে। আগামীকালও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে। যার একটিতে লড়বে ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া সাউদাম্পটনে। অন্যটিতে খেলবে ভারত-নিউজিল্যান্ড লন্ডনের ওভালে।
এক কথায় প্রায় সব দলগুলোই পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ডে। ওখানকার কন্ডিশনে মানিয়ে নেয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুতিটুকু সেরে খেলবে অনুশীলন ম্যাচে। বাংলাদেশ কার্ডিফে আজ ও কালকের দিন সময় পাচ্ছে পাকিস্তানকে মোকাবেলার আগে। অবশ্য প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও এর গুরুত্ব অনেক। দু’দলই তাদের খেলোয়াড়দের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে নেবে এ প্রস্তুতির মধ্যে। ফলে জয়-পরাজয় মুখ্য না। তবু প্রেস্টিজিয়াস একটা ইস্যু তো থাকছেই। সবই মেনে নেয়া যায়- দিন শেষে পরাজয়টা মেনে নিতে চায় না কেউই। এতেই প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও সেটা বেশ জমেই ওঠে। তা ছাড়া, এ ম্যাচে খেলোয়াড়দেরও একটা প্রতিযোগিতা থাকে। যা দলে নিজেদের স্থান পাকা করার বিষয়টি। দুই প্রস্তুতি ম্যাচে যদি পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয় কেউ, সঙ্গতভাবেই তাকে পরের খেলা অর্থাৎ মূল ম্যাচে নামানোর জন্য বার কয়েক চিন্তা করবে টিম ম্যানেজমেন্ট। এতে করে খেলোয়াড়দেরও একটা টার্গেট থাকে এ সব ম্যাচে। সব মিলিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও এর গুরুত্ব আছে।
বাংলাদেশের একটা প্লাস পয়েন্ট তারা আয়ারল্যান্ডে খেলে এসেছে বেশ কিছুদিন। লেস্টারশায়ারেও অনুশীলন করেছে। প্রস্তুতির প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের অ্যাডভান্টেজ আরো। কারণ, ইংল্যান্ডের সাথে এ কন্ডিশনে খেলেছে পাঁচ ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজ। ফলে তারা আরো এগিয়ে। যদিও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে তারা এবং পিসিবির নির্বাচকমণ্ডলীর প্রধান ইনজামামুল হক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পারফরম্যান্সের পর যে মূল স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন, তাতে পরিবর্তন রয়েছে। তিনটা পরিবর্তন এনেছেন তারা ওই স্কোয়াডে। মোহাম্মাদ আমের, ওয়াহাব রিয়াজে ও আসিফ আলীর মতো ক্রিকেটার বিশ্বকাপের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে যাদের এসিড টেস্ট হবে প্রস্তুতি ম্যাচে।
সেটা যা-ই হোক, আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর একটা ধারণা ছিল বাংলাদেশ স্কোয়াডেও আসতে পারে পরিবর্তন। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ। আপাতত ওই দিকে নজর নেই নির্বাচকদের। তবে হ্যাঁ, যদি কন্ডিশন প্রয়োজন মনে করে এবং দলে ইনজুরির সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে তাসকিন আহমেদ দলভুক্ত করা হতে পারে সেটা যে স্থানের খেলোয়াড় ইনজুরি হোক না কেন! কারণ, ব্যাটিংলাইনে অতিরিক্ত ক্রিকেটার আছেন। দুর্বলতা পেস অ্যাটাকেই। এখানে যারা আছেন তারা সবাই শতভাগ ফিট থাকলেও চলত। কিন্তু ইনজুরির সমস্যা আছে বাংলাদেশের পেস অ্যাটাকে। এ জন্যই তাসকিনকে চাওয়া। কারণ, পরপর ম্যাচ। এবং টানা দুই প্রস্তুতি ম্যাচ সহ আরো ৯টি। মোট ১১ ম্যাচ তো খেলতেই হবে। এতে ইনজুরিতে পড়লে ওই পেসাররাই পড়তে পারেন। এ জন্যই তাসকিনে এক ‘চোখ’ দিয়ে রেখেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২ জুন ওভালে, প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।

 


আরো সংবাদ



premium cement