২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


‘জিতলে দুর্বল দল, হারলে কী হতো

-

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিম্বাবুয়েকে সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই সিরিজে বাংলাদেশ জিতলেও সমালোচনা হচ্ছে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে। তুলনামূলক দুর্বল দল জিম্বাবুয়েকে সিরিজ হারিয়েও সেভাবে কৃতিত্ব পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এ নিয়ে কিছুটা আফসোস করছেন তাসকিন আহমেদ।
সিরিজের প্রথম দু’টি টি-২০তেই টস জিতে আগে বোলিং বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ। মূলত জিম্বাবুয়েকে অল্প রানের মধ্যে আটকে সহজেই ম্যাচ জিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই দু’টি ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে অল্প রানে আটকালেও দাপুটেভাবে ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বরঞ্চ দুর্বল এই দলটির বিপক্ষে লিটন দাসের অফফর্ম, শান্তর স্ট্রাইক রেট বা ব্যাটিং ইউনিটের ব্যর্থতাই চোখে পড়েছে বেশি। যার কারণে সিরিজ জিতেও সেভাবে কৃতিত্ব পাচ্ছে না বাংলাদেশ।
এ নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘মূল লক্ষ্যতো বিশ্বকাপকেন্দ্রিক। সবাই যেন শতভাগ উন্নতি করে বিশ্বকাপে ঢুকতে পারি। আসলে যতই কথা হচ্ছে জিম্বাবুয়ে নিয়ে, আবার যদি একটা ম্যাচ হেরে যাই, তাহলে কিন্তু অন্যরকম কথা হবে, যে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছি। ছোট দলের সাথে জিতলে কৃতিত্বটা কম পাই।’
তিনি যোগ করেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলো, আমাদের অনেক রকম কথাই শুনতে হয়। কিন্তু যখন খেলতে নামি, প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করি। হয়তো কখনো ভালো হয়, কখনো খারাপ হয়। উন্নতির ধারাটা রেখে সবাই বিশ্বকাপে ভালো করার চেষ্টা করছে।’
‘আমরা যারা খেলোয়াড়, যখনই যেখানে খেলতে নামি সেরাটা দিয়ে এমনকি বিপিএলেও যখন খেলতে নামি ভালো খেলারই চেষ্টা করি। মেইন লক্ষ্য তো বিশ্বকাপকেন্দ্রিক। দল হিসেবে এবং যে যার জায়গা থেকে যদি ৫-১০ শতাংশ উন্নতি করে বিশ্বকাপে ঢুকতে পারি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি এবং আমাদের শুরুটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে (বিশ্বকাপে)।’
কিছুদিন পরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবে বাংলাদেশ দল। মূলত বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই এই সিরিজে খেলছে শান্তর দল। দুর্বল দলের বিপক্ষে এই সিরিজে অসাধারণ কিছু করলে সেটি তাসকিনের চোখে ‘ভুল’ কিছু নয়। তিনি আরো বলেন, ‘আসলে ফেইক কনফিডেন্স নয়। ভালো করতে যেকোনো জায়গায়ই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। হ্যাঁ, হয়তো আমরা জানি না যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশন কেমন হবে। মোস্টলি ড্রপ ইন উইকেটে খেলা হতে পারে। আমাদের বেশির ভাগ খেলোয়াড়েরই যুক্তরাষ্ট্রে খেলার অভিজ্ঞতা কম। ওইভাবে মানিয়ে নিতে হবে। একজন ক্রিকেটারের সবরকম অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।’
তাসকিন জানান, ‘এখন বাংলাদেশে খেলছি, খেলতেও হবে। কন্ডিশন তো আমরা বদলাতে পারব না। যদি আরেকটু স্পোর্টিং কন্ডিশন হতো, তাহলে হয়তো ভালো হতো। তবু আমাদের কিন্তু অনেক ভালো ক্রিকেট খেলতে হচ্ছে। আরেকটা জিনিস, যখন যুক্তরাষ্ট্রে যাবো, তখন কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে হবে। একটা ভালো দিক হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের তিনটা ম্যাচ আছে। যেখান থেকে আমাদের ধারণা নেয়া সহজ হবে এবং দলের জন্য কাজে দেবে।’
সবার জন্য নীতি একই
বেশ কয়েকবার আইপিএল খেলার সুযোগ পেয়েও যেতে পারেননি তাসকিন আহমেদ। এ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনার পাশাপাশি তার কণ্ঠেও ছিল আক্ষেপ। তাসকিন ছাড়পত্র না পেলেও মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন। প্রশ্ন আসছে দুই ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে বিসিবির দু’রকম নীতি নিয়ে। তাসকিন বলেন, ‘নীতি প্রায় একই। হয়তো একেকজনের শরীরের ধরন একেকরকম। এজন্য বোর্ডের চিন্তার জায়গা থাকে। হয়তো আমার শরীরের ধরন বা বোলিংয়ের ধরন ভিন্ন, এজন্য আমি এবার যেতে পারিনি। ভবিষ্যতে (আইপিএল) খেলব ইনশাআল্লাহ্। আফসোস করে লাভ নেই।’
তিনি বলেন, ‘আইপিএলে অনেক ভালো করেছে মোস্তাফিজ। যেহেতু ও এসেছে আমার যতটুকু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারছি, ওকে আনার কারণটা হচ্ছে, দলের পরিকল্পনা ও কালচারের ক্ষেত্রে অবগত থেকে (বিশ্বকাপে) যেতে পারা।


আরো সংবাদ



premium cement