২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইনজুরি পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের

মুশফিকুর রহীম; মোহাম্মদ মিথুন -

নিউজিল্যান্ড সিরিজের নাম নেয়ার পর থেকেই শুরু ইনজুরি। ওয়ানডে দল এখন সিরিজ শেষ করার পথে। কিন্তু ইনজুরি এখনো থামছে না। ইনজুরির মিছিল বাংলাদেশ দলে। পরিস্থিতি এমন হয়ে গেছে যে, শেষ ওয়ানডের একাদশ সাজানোই কষ্টকর হয়ে গেছে। সাকিবের পর আরো সলিড দুই ব্যাটসম্যানও যদি ইনজুরিতে পড়েন, তাহলে একাদশ সাজানো সম্ভব কিভাবে। ইনজুরির মিছিলে সর্বশেষ যোগ হয়েছেন মোহাম্মাদ মিথুন ও মুশফিকুর রহীম। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রান নিতে গিয়ে রগে টান পড়ায় শেষ ওয়ানডে খেলতে পারছেন না মিথুন এটা নিশ্চিত। শুধু সেটাই নয়। টেস্ট সিরিজের আগে সুস্থ হয়ে উঠবেন কি-না সেটা নিয়েও রয়েছে সংশয়। অবশ্য আপাতত বিশ্রামই তার জন্য নির্ধারিত। মুশফিকুর রহীমের পাঁজরে কিছুটা ব্যথা ছিল আগ থেকেই। সেটা এখন বেড়েছে। সামনে যেহেতু টেস্ট ম্যাচ রয়েছে। মুশফিককে নিয়ে শেষ ওয়ানডেতে রিস্ক নেবে কি-না ম্যানেজমেন্ট সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে এখনো একটু পর্যবেক্ষণের ব্যাপার রয়েছে। মিথুন ও মুশফিকের বিষয়টি আরো নিশ্চিত হচ্ছে স্ক্যানের প্রয়োজন। সেটা আজ করাতে পারলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। সে পর্যন্ত ঝুলে থাকছেন মুশফিক। তবে মিথুন অনেকটাই ফাইনাল।
ইনজুরি শুরু হয়েছে দল ঘোষণার পর তাসকিন আহমেদকে দিয়ে। তার পরিবর্তে ওয়ানডেতে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও টেস্টে শফিউলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর বিপিএলের ফাইনালে ইনজুরির শিকারে পরিণত হন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডে সিরিজ থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়। এরপর দুই ম্যাচ খেলার পর মোহাম্মদ মিথুন ও মুশফিক! এমনিতেই প্রথম দুই ওয়ানডেতে যাচ্ছেতাই ব্যাটিং করে হেরেছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানরা একেবারেই ব্যর্থ। দুই ম্যাচে দু’টি হাফ সেঞ্চুরি এসেছে। সেটা ওই মোহাম্মদ মিথুনের ব্যাট থেকেই। এ ছাড়া সাব্বির কিছুটা খেলছেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কিছু রান করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু সেটাও এখন অনিশ্চয়তা।
নিউজিল্যান্ড সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ স্কোয়াডে শেষ ওয়ানডে খেলতে ইতোমধ্যে দলে টেনেছে মুমিনুল হককে। মুমিনুল মূলত টেস্ট স্কোয়াডের খেলোয়াড়। মুমিনুল কখনোই কি জানতেন, তাকে এভাবে আবার ওয়ানডেতে ফিরতে হবে। অবশ্য বিপিএলের কারণে ওয়ানডে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলোয়াড় সঙ্কট থাকায় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলেন এ ব্যাটসম্যান। ফলে ওয়ানডে খেলতে একেবারেই সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে যেহেতু টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন বিপিএলে। তাই মুমিনুলের সমস্যা নেই। সমস্যা একটি স্থানেই। বলা নেই, কওয়া নেই হুট করেই ওয়ানডে খেলতে নেমে পড়া। এখানে যেমন সমস্যা রয়েছে অ্যাডজাস্ট হওয়ার। তেমনি ভালো করলেও তার কোনো মূল্যায়ন হবে বলে মনে হয় না। কারণ মুমিনুলকে ইতোমধ্যে ‘টেস্ট’ স্পেশালিস্ট হিসেবে তকমা দিয়ে ফেলে রেখেছে বিসিবি। মুমিনুলও এখন টেস্ট ম্যাচ নিয়েই অনুশীলন করে যাচ্ছেন। সেখানে ওয়ানডে খেলতে নেমে কী করবেন তিনি। তা ছাড়া এভাবে টানাহেঁচড়া করে একটা জাতীয় দল কিভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা সিরিজে লড়াইয়ে নামে। এমনিতেই দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হাতছাড়া। ২০ ফেব্রুয়ারি ডানেডিনে হেরে গেলে ‘হোয়াইটওয়াশ’ হতে হবে। তবে এটাও ঠিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে কখনোই ওয়ানডেতে জেতা হয়নি। সে স্বপ্নটা কি এবারো অধরা থাকবে। হোয়াইটওয়াশের দিকে নজর না দিয়ে বরং অন্তত একটি ম্যাচ কিভাবে জেতা যায় সেদিকে মনোযোগী হওয়াই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু দলের যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে জয় তো দূরে থাক, আরেকটা পরাজয়ের মুখেই বাংলাদেশ এমনটা বলে দেয়া যায় অনায়াসে। অবশ্য ক্রিকেটে আগাম কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। ম্যাচে ঘটে যেতে পারে অনেক কিছু। আপাতত সে অনিশ্চতার (!) দিকেই তাকিয়ে সবাই।

 


আরো সংবাদ



premium cement