০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


শান্তর সেঞ্চুরি : শিরোপার এক ধাপ দূরে আবাহনী

-

সুুপার লিগে নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে হারিয়ে টানা ১৩ জয়ে শিরোপার ইঞ্চিখানেক দূরত্বে সবচেয়ে সফল দল আবাহনী।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে ১৭১ রানে জিতেছে আবাহনী। ৩৪৩ রানের পুঁজি নিয়ে গাজী গ্রুপকে ১৭২ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। প্রাথমিক পর্বে অপরাজিত থাকা আবাহনী এবার সুপার লিগে পেল টানা দ্বিতীয় জয়। প্রিমিয়ার লিগে ২২তম শিরোপা জিততে স্রেফ একটি জিতলেই হবে। শেষ তিন ম্যাচে অবশ্য অনেকটাই শক্তি হারাবে আবাহনী। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় দলের প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেবেন ক্লাবটির ১০ ক্রিকেটার। তাই বেঞ্চের ক্রিকেটারদের নিয়েই শিরোপার জয়ের বাকি কাজটুকু সারতে হবে আকাশি-নীল জার্সিধারীদের।
ফতুল্লায় গাজী গ্রুপের বিপক্ষে সাড়ে তিন শ’ ছুঁইছুঁই স্কোর গড়ার কারিগর নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮৪ বলে ১০১ রানের সৌজন্যে আবাহনী অধিনায়কের হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। চার উইকেট নিয়ে বড় অবদান রাখেন বাঁ হাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান।
শান্ত প্রথম ফিফটি করেন ৬১ বলে। এরপর স্রেফ ২১ বলে করে ফেলেন পরের পঞ্চাশ রান। চলতি লিগে তিন ইনিংসে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এটি। সব মিলিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের দ্বাদশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আবাহনী লিমিটেড : ৫০ ওভারে ৩৪৩/৫ (শান্ত ১০১, এনামুল ৬৮, হৃদয় ৫৮*, শেখ মাহেদী ২/৫০)।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স : ৩৫.১ ওভারে ১৭২ (হাবিবুর ৩৮, সাব্বির ৬২, তানজিম ২/৩২, মোসাদ্দেক ২/৩৪, রাকিবুল ৪/৪৪)।
ফল : আবাহনী ১৭২ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : নাজমুল হোসেন শান্ত।
রনির সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের জয়
নাঈম হাসানের অফ স্টাম্পের একটু বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করলেন মুশফিকুর রহীম। ব্যাটে-বলে করলে ভালোভাবেই তবে ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে থাকা আবু হায়দার রনি বাঁ দিকে দৌড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নিলেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সাজঘরে ফিরছিলেন ১২ বলে ১০ রান করা মুশফিক। তবে বাউন্ডারি সীমানার কাছে যেতেই ড্রেসিং রুমে থেকে বেরিয়ে আসেন প্রাইম ব্যাংকের ক্রিকেটাররা। সবার দাবি মুশফিক আউট হননি। ম্যাচ রেফারির সাথে লম্বা সময় কথা বললেও সিদ্ধান্ত বদলানো যায়নি। আম্পায়ারের এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্তে প্রায় ১৫ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল।
প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছেন রনি। ওপেনিংয়ে নেমে দারুণ ব্যাটিংয়ে খেলেছেন ১৪১ রানের ইনিংস। রনি বাদে ৫০ পেরোনো ইনিংসের মোহামেডানের মাহিদুল অঙ্কন ও মেহেদী মিরাজ। তাদের তিনজনের ব্যাটেই প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ৩১৭ রানের পুঁজি পায় ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
জবাবে মুশফিক আউট হয়ে ফিরলে বিপাকে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। কারণ ৩১৮ রান তাড়ায় দ্রুতই সাজঘরে ফিরেছেন তামিম, পারভেজ হোসেন ইমরান। ১৬৪ রানে চার উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। যার ফলে শেষ দিকে শেখ মেহেদী ৬৪ এবং সানজামুল ইসলাম ৪৯ রানের ইনিংস খেলার পরও জয়ের দেখা পাওয়া হয়নি তাদের। ফলে ৩৩ রানের জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
ফজলে মাহমুদের সেঞ্চুরিতে জয় জামালের
শাইনপুকুরের ওপেনার তাইবুর রহমান অল্পের জন্য তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তার বিদায়ের পর প্রত্যাশিত গন্তব্যেও যেতে পারেনি দল। পরে ফজলে মাহমুদের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে অনায়াসে জয় পেল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে সাত উইকেটে হারায় শেখ জামাল। টানা ছয় জয়ের পর এই পরাজয়ে শেষ হয়ে গেল শাইনপুকুরের শিরোপা জয়ের সামান্য সম্ভাবনাটুকুও। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হওয়ার দৌড়ে টিকে থাকল শাইনপুকুরও।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সুপার লিগের ম্যাচটিতে জিসান ও তানজিদ হাসানের ঝড়ে উড়ন্ত সূচনা করে শাইনপুকুর। দুই ওপেনার ফেরার পর আকবর আলি ছাড়া কেউ-ই তেমন কিছু করতে পারেননি। ফলে ২৬৪ রানে গুটিয়ে যায় তারা। রান তাড়ায় ২২ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় শেখ জামাল। চলতি লিগে প্রথম সেঞ্চুরিতে ১১৯ বলে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ফজলে মাহমুদ। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ম্যাচের প্রথম ভাগে ৮টি করে চার-ছক্কায় স্রেফ ৬১ বলে ৯৮ রান করেন জিসান।


আরো সংবাদ



premium cement