০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দৃষ্টিপাত : ভাসানচরের মালিকানা

-

আগে নাম ছিল ন্যায়মস্তি। এরপর ঠেঙ্গারচর, বর্তমানে ভাসানচর। এক লাখ রোহিঙ্গার স্থানান্তর নিয়ে বহুল আলোচিত এই চরটি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পূর্বে এবং চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার পশ্চিমপ্রান্ত থেকে ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় প্রায় ২০ বছর আগে জেগে ওঠা বিচ্ছিন্ন ও জনমানবশূন্য ভাসানচর। কিন্তু এই চর নিয়ে নোয়াখালী জেলা ও সন্দ্বীপ উপজেলার মধ্যে চলছে দীর্ঘ দিনের বিরোধ। এক দিকে নোয়াখালীর দাবি এটা তাদের হাতিয়ার অংশ, অন্য দিকে সন্দ্বীপবাসীর দাবি এটা তাদের নদীতে হারিয়ে যাওয়া পৈতৃক ভূমি ন্যায়মস্তি।
১৯৫৪ সালে ৭৫টি মৌজা থেকে ১৫টি মৌজা নোয়াখালী জেলাকে ছেড়ে দিয়ে বাকি ৬০টি মৌজা নিয়ে সন্দ্বীপ চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এই ৬৫ বছরে ন্যায়মস্তি, ইজ্জতপুর, কাটগড়, বাটাজোড়াসহ অনেক মৌজাই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে হারিয়ে যাওয়া সন্দ্বীপের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন ছিল ন্যায়মস্তি। একসময় নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়া সন্দ্বীপ উপজেলার ইউনিয়ন আজকের ভাসানচর বা ঠেঙ্গারচর।
সন্দ্বীপ থেকে ভাসানচরে যেতে সময় লাগে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট, অথচ হাতিয়া উপজেলা থেকে ভাসানচরে যেতে সময় লাগে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। ন্যায়মস্তি তথা ভাসানচরকে সন্দ্বীপের থানা হিসেবে ঘোষণা করার জন্য হাইকোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। রিট আবেদনকারী মামলা নং ৭০৯৮/২০১৮ ইং তবুও কয়েক দিন আগে সরকার ভাসানচরকে নোয়াখালীর থানা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ দিকে নতুন করে জেগে ওঠা ভাসানচরকে সন্দ্বীপের সাবেক ন্যায়মস্তি ইউনিয়ন হিসেবে সন্দ্বীপ রেঞ্জের আওতায় বনায়ন করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত লাগানো এক হাজার ৫০ একর জমিতে ম্যানগ্রোভ বনায়ন এখন দৃশ্যমান।
সন্দ্বীপের ভেঙে যাওয়া বিভিন্ন ইউনিয়নের শত শত মানুষ নানা স্থানে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছে। আবার অনেকে ঘরবাড়ি হারিয়ে বেড়িবাঁধে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সাগরে চর জেগে ওঠা দেখে তারা আশায় বুক বেঁধেছে পুরনো ভিটায় নতুন করে বসবাস করার। মানুষগুলো যেখানে আশ্রয় পেতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে নিজেদের ফিরে পাওয়া বাপ-দাদার ভিটেমাটি অন্য কেউ ভোগ করবে তা মেনে নেবে ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ন্যায়মস্তি সমুদ্রের মুখে অবস্থানের কারণে এর ভাঙন যেমন দ্রুত ও স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘটে, তেমনি মেঘনার অববাহিকার প্রবল স্রোতের সাথে আসা প্রচুর পলিমাটি জমে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে গ্রামটি আবার জেগে ওঠে। এই বাস্তবতার আলোকে এর সঠিক তদন্ত করে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়ার জন্য আপনার প্রতি সনিবদ্ধ অনুরোধ রইল।
জিসান মাহমুদ
সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম


আরো সংবাদ



premium cement
গাজীপুরে নিখোঁজ পোশাকশ্রমিকের লাশ উদ্ধার চলচ্চিত্রে সমস্যা ও উত্তরণে গোলটেবিল বৈঠক হ্যাটট্রিক হারে সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশে বন্ধ হলো সেই বিলের মাটি কাটা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় বৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া উখিয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশী ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে জামায়াতের উদ্বেগ এমপি-মন্ত্রী-সচিবের আত্মীয় এগুলো দেখার প্রয়োজন নেই : ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ইসি সচিব বগুড়ায় শজিমেক ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১৩ স্বর্ণের দাম ভরিতে আরো কমলো ১৮৭৮ টাকা গাজায় হামাস যোদ্ধা ও ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ

সকল