২২ মে ২০২৪, ০৮ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫
`


স্মরণ

খান বাহাদুর নাসির উদ্দীন আহমদ

-

খান বাহাদুর নাসির উদ্দীন আহমদ এক বিস্মৃত নাম। সিলেটের ভাদেশ্বরে (দক্ষিণ ভাগ) এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৮৭১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ইতিহাসবিদ সৈয়দ মুর্তাজা আলী উল্লেখ করেছেন ‘বাল্যকালে নাসির উদ্দীন আহমদের পিতৃবিয়োগ হয়। অবস্থা সচ্ছল না থাকায় তাকে কষ্টে বিদ্যা লাভ করতে হয়...। তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন ও এন্ট্রাস পরীক্ষায় আসামে প্রথম স্থান লাভ করেন। তিনি ১৮৯৭ সালে এক সাথে এমএ ও বিএল পরীক্ষা পাস করেন। তিনি প্রথমে সাব-ডেপুটি কালেক্টর পদ লাভ করে অত্যল্পকালের মধ্যে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে উন্নীত হন। পরে তিনি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও অ্যাডিশনাল চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট পদে উন্নীত হন...’। ১৯২১ সালে তিনি নিজ গ্রামে হাইস্কুল স্থাপন করেন। ওই হাইস্কুলের অনেক কৃতী ছাত্র দেশগঠনে বিরাট ভূমিকা রাখেন। যেমন, ঢাকা বিভাগের সাবেক কমিশনার গিয়াস উদ্দীন আহমদ চৌধুরী ও ঢাকা হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি আবদুস সোবহান চৌধুরী। নাসির উদ্দীন চৌধুরীর নাতি স্কোয়াড্রন লিডার আনসার আহমদ চৌধুরী ওই স্কুলের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিমানবন্দরে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন। তার জ্যেষ্ঠ ভাইপো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল ডা: আসাদুজ্জামান চৌধুরী। প্রখ্যাত লেখক, এস ওয়াজেদ আলী, তার ‘মাশুকের দরবার’ গ্রন্থটি তার সহকর্মী ও বন্ধু নাসির উদ্দীন আহমদের নামে উৎসর্গ করেন। ১৯২০ সালে স্ত্রী বিয়োগের পর তার নামে ভাদেশ্বরে আশরাফুন্নেছা দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন। তিনি দরিদ্র মেধাবী ছাত্রদের শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করতেন। এস এন কিউ জুলফিকার আলী, (প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও লেখক) পাকিস্তান অবজারভার-এ উল্লেখ করেছিলেন, কলকাতায় পার্ক সার্কাস রোডে খান বাহাদুর নাসির উদ্দীন আহমদের বাসায় আসাম বেঙ্গল প্রদেশের অনেক যুবক বাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা লাভ করেছেন। আসামের স্যার সাদ উল্লাহর ক্যাবিনেটের মন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরীকে তার সাংবাদিক জীবনের এক সময়ে ঠেলাগাড়ি ভর্তি পত্রপত্রিকা নিয়ে ওই বাসায় উঠতে দেখা যেত। নাসির উদ্দীন ১৯২০ সালে স্ত্রী বিয়োগের পর দ্বিতীয়বার দ্বারপরিগ্রহ করেননি। তিনি বিয়ে করেছিলেন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের রূপসা জমিদার বাড়িতে। নিঃসন্তান ছিলেন। ১৯৫১ সালের ১ মে তিনি ইন্তেকাল করেন। হ
আহমদ-উজ-জামান


আরো সংবাদ



premium cement