২২ মে ২০২৪, ০৮ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫
`


পার্বত্য চট্টগ্রামে কেএনএফের উত্থান ও করণীয়

-

(গতকালের পর )
পার্বত্য (শান্তি) চুক্তির প্রভাব : পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগত বিরোধসংক্রান্ত বিষয়ে অনেকে মনে করেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির সব ধারা প্রতিপালন/কার্যকর না করায় সমস্যাটির সমাধান হচ্ছে না। বস্তুতপক্ষে সেটিও সত্যি নয়। এ চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বিপরীতে সরকার যেসব আনুকূল্য বা সহায়তা প্রদান করছে, তার প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ভোগ করছেন চাকমারা, বাকি ৩০ ভাগের মধ্যে প্রায় সব সুবিধাভোগী হিসেবে আছেন মারমা ও ত্রিপুরারা। পাহাড়ের অবশিষ্ট নৃ-গোষ্ঠীর অর্থাৎ বাকি ১১টি নৃ-গোষ্ঠী পাচ্ছে সাকুল্যে শতকরা এক ভাগেরও কম। ফলে তাদের মধ্যে বিরাজ করছে গভীর হতাশা। তারা পাহাড়ি তথা জুম্মু হিসেবে ১৪ জাতিগোষ্ঠীর ১৩ ভাষাভাষীদের সাথে বাঙালিদের বিরুদ্ধে একই সারিতে দাঁড়িয়ে দাবি জানাতে বাধ্য হলেও, সুযোগ সুবিধা গ্রহণের বেলায় চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা কর্তৃক বঞ্চিত হওয়ার ধকল সামলিয়ে উঠতে না পেরে, দারুণ মনোব্যথায় রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।
সংবিধান অনুসারে বাংলাদেশে বসবাসরত সব নাগরিকের সমান অধিকার ঘোষণা করা হলেও, সংবিধান এটিও ঘোষণা করেছে যে, সমাজের কোনো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে, সমান পর্যায়ে নিয়ে আসতে, রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে। ওই বিধানের আওতায় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম (শান্তি) চুক্তি। ওই চুক্তি সম্পাদনের পর, পাহাড়িদের বেশির ভাগ হয়েছিলেন উচ্ছ্বসিত। কিন্তু কিছু দিন পর তাদের অনেকের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাদের মাধ্যমে বঞ্চনায়
একই সাথে অন্য ১১টি নৃ-গোষ্ঠীর স্বার্থহানির কারণ হচ্ছে। অথচ সংবিধান অনুসারে পিছিয়ে পড়াদের অনুকূলে সুবিধা প্রদানের সময়কাল, সীমাহীন হওয়ার কথা নয়।

এদিকে পাহাড়ি নেতারাসহ সমতলের কিছু বিশেষজ্ঞ ক্রমাগত বলে চলেছেন, চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারার বেশির ভাগ (৪৮টি) কার্যকর করা হলেও, অবশিষ্টাংশ কার্যকর না করা হলো পাহাড়িদের দুঃখের কারণ। লক্ষণীয় যে, পার্বত্য (শান্তি) চুক্তির ৭২টি ধারার সব কিছু কার্যকর করার বিনিময়ে সরকারি পক্ষের চাওয়া ছিল ‘পাহাড়িদের অস্ত্র সমর্পণ’। অথচ, নামে মাত্র কিছু অস্ত্র জমা দিয়ে, এ পর্যন্ত পাহাড়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে যে, সরকার তার কথামতো চুক্তির ২/১টি বিষয়-ব্যতীত পুরোপুরি কার্যকর করলেও, বিপরীত ক্রমে পাহাড়িরা একটি মাত্র শর্তই পালন করেনি। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’ নিরসনে সচেষ্ট হওয়ার এখনই সময় বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে।
সর্বশেষ অবস্থা : বর্তমানে কেএনএফ যেভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, তাতে নিঃসন্দেহে এদের ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। কেননা কুকিদের এ ধরনের হামলা, পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশ পরিস্থিতিকে আরো অস্থিতিশীল করে তুলবে। বান্দরবানকেন্দ্রিক বর্তমানে কেএনএফের এহেন তৎপরতা বেশি এবং সেখানে তারা কিছু সুবিধাও পাচ্ছে তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর কাছে থেকে। পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্ত থেকেও সংশ্লিষ্ট সহযোগী সংগঠনসমূহ কুকিদের সহযোগিতা দিচ্ছে। তারা মূলত ভৌগোলিক সীমান্তের সুযোগটি ব্যবহার করছে। কেএনএফ দেশের পার্বত্যাঞ্চলকে অতীতের তুলনায় আরো বেশি অশান্ত ও ভয়ঙ্কর করে তুলছে। এমনকি পাহাড়ের যেখানে উন্নয়ন কাজ হচ্ছে, সেখানে বাধা সৃষ্টি করছে কুকি সন্ত্রাসীরা।

ইদানীং কুকি সন্ত্রাসীদের কম্ব্যাট (সামরিক) পোশাকে অস্ত্র মহড়া, প্রশিক্ষণ ও গুলি চালানোর ভিডিও, নিজেরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার করছে। তারা অনলাইনের সামাজিকমাধ্যমে কুকিদের কিছু আইডি বা পেজে, অনবরত তৎপরতার জানান দিচ্ছে; এমনকি একটি ভিডিওতে কেএনএফের প্রধান, নাথান বমসহ তাদের শীর্ষ নেতাদের গায়েও সামরিক আদলে পোশাক দেখা গেছে। তাদের কার্যক্রম এখন পর্যন্ত বান্দরবান পার্বত্য জেলাভিত্তিক হলেও, তারা ইতোমধ্যে তিন পার্বত্য জেলার প্রায় অর্ধেক আয়তনের অঞ্চল তথা বান্দরবান জেলাধীন লামা, রুমা, আলী কদম, থানচি, রোয়াংছড়ি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন বিলাইছড়ি, জুরাইছড়ি, বরকল উপজেলাসহ আশপাশের এলাকা নিয়ে একটি মনগড়া মানচিত্র তৈরি করেছে। শুধু তাই নয়, তারা এ মানচিত্রকে প্রস্তাবিত হিসেবে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সীমানা, জেলা উপজেলা সীমানা নির্ধারণ করেছে।
এমতাবস্থায় তিন পার্বত্য জেলার দুর্গম সীমান্ত এলাকাগুলো পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মচঞ্চল করে তোলা দরকার অতি শিগগির। সে উন্নয়নের ধারায় পাহাড়ি জনগণকে; যারা অন্যদের চেয়ে আগে, সেখানে বসবাস শুরু করেছে; অবশ্যই তাদের অগ্রাধিকার দেয়া জরুরি। এতদসঙ্গে মিয়ানমার ও ভারতের সাথে বাংলাদেশের পুরো সীমান্ত বরাবর সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার যে উদ্যোগ চলমান, তার শম্বুক গতি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এর ধারাবাহিকতায় তিন পার্বত্য জেলাকে দেশের অন্যান্য জেলার সমমর্যাদায় রাখা হচ্ছে এখন সময়ের দাবি। পার্বত্য চট্টগ্রাম তুলনামূলক জনবিরল হলেও আয়তনে দেশের এক-দশমাংশ। জাতীয় উন্নয়ন বাজেটে সে বাস্তবতার প্রতিফলন থাকা আবশ্যক। শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে অধিকাংশ সমস্যার নিষ্পত্তি হওয়া সম্ভব। আর তা উচিত কোনো বিদেশী এনজিও বা আন্তর্জাতিক সংস্থার অর্থায়ন ছাড়া; নিজস্ব অর্থায়নে। সে সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে; প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সিদ্ধান্তের।

উপরে বর্ণিত তথ্যাদির আলোকে তথ্যাভিজ্ঞমহলের কিছু মতামত নি¤œরূপ :
১. পার্বত্য জেলার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে; সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার অধিকতর উন্নত পন্থা খোঁজকরত:, অতিসত্বর পাহাড়ের জন্য গঠিত র্যাব-এর ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম’ ইউনিটকে মাঠে নামানোর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
২. পাহাড়ের ১৩ ভাষাভাষী ১৪টি জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে পিছিয়ে পড়া এবং সরকারি সুবিধা থেকে প্রায় বঞ্চিত ১১টি নৃ-গোষ্ঠীর আস্থার সঙ্কট থেকে, কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্টসহ, নতুন নতুন সন্ত্রাসী সংগঠনের কার্যক্রমের উন্মেষ হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে গভীরভাবে কাজকরত পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।
৩. পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠনসমূহ কোনো বিদেশী রাষ্ট্র বা কোনো গ্রুপের সহায়তা পাচ্ছে কিনা তা বিবেচনা করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।
৪. কেএনএফের চলমান কার্যক্রম অঙ্কুরে শেষ করতে চলমান অভিযানের মাত্রাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম নেয়া জরুরি।
৫. অন্তত ২/৩ বছর আগে থেকে বান্দরবানের সীমান্ত এলাকাসহ সন্নিহিত অঞ্চলে কিছু সশস্ত্র লোকজন; যারা ওই অঞ্চলের মানুষ নয়, এমনকি বাংলাদেশের নাগরিক নয়, ওই অঞ্চলে তাদের ঘোরাফেরা করার তথ্যসংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে স্থানীয় জনগণ কর্তৃক জানানোর পরও তারা তা না দেখার ভান করেছে বা ইচ্ছে করে কাউকে প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে মর্মে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগের সত্যাসত্য যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
৬. হঠাৎ করে জানা গেল, পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি-চিন প্রশিক্ষণ নিয়েছে। দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে উদ্বুদ্ধ করে তাদের নেয়া হয়েছে। কিভাবে এটি সম্ভব হলো? কারা করল? এ মৌলিক প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিত হয়ে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে, সে প্রেক্ষাপটে পার্বত্য (শান্তি) চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের বিকল্প কথা ভাবা যেতে পারে।
৭. পাহাড়ের বিস্তীর্ণ অরক্ষিত আন্তর্জাতিক সীমানা বিশেষ করে দেশের রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার উদয়পুর, দুসর, কংলাক, বাঘাইহাট, শিয়ালদাহ, বেটলিংয়ের সাথে ভারতের মিজোরামের সীমান্ত অঞ্চল এবং বান্দরবানের তিন্দু, রেমাক্রী, ছোট মদক, বড় মদক, মংওয়া, দ্রংগং, ইয়ারান বাগ, লিংরি, মালিংগা, সুখিয়াং, টাংকই, লাপাই এলাকার বিপরীতে মিয়ানমারের ‘চিন’ রাজ্যের পিথং, ঝির, কালাজং, ক্রম দিয়ে, অবাধে অস্ত্র প্রবেশের সুযোগ নি-িদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিয়ে সন্ত্রাসীদের সীমান্ত চলাচলে শতভাগ রুখে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
৮. পার্বত্য (শান্তি) চুক্তির যেসব শর্ত এখনো বাস্তবায়ন হয়নি বা বাস্তবায়নের বাধাসমূহ চিহ্নিত করে, করণীয় নির্ধারণে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ এখন অতি আবশ্যক।

৯. বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে কোনো ব্যক্তি, সংগঠন, জাতি-গোষ্ঠীর সবাই রাষ্ট্রের দৃষ্টিতে সমান অধিকার লাভ করবে। কারো প্রতি অনুরাগ বা বিরাগবশত রাষ্ট্র কার্যক্রম গ্রহণ করার কথা নয়। তবে পিছিয়ে পড়া জাতি-গোষ্ঠীকে সমান পর্যায়ে নিয়ে আসতে ব্যবস্থা রাষ্ট্র নিতে পারবে। এ অধিকার কিন্তু স্থায়ী নয়। বিবিধ কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে এ পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীকে দেশের অন্য এলাকার বা জাতি-গোষ্ঠীর সমান্তরালে নিয়ে আসা গেলে তাদের অনুকূলে সরকার তার দেয় বিশেষ সহায়তা কমিয়ে এক পর্যায়ে তা বন্ধ করার কথা।
২ ডিসেম্বর/১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তি, সংবিধানের ওই ধারার আওতায় সম্পাদিত হয়েছে বিধায় একটি বিশেষ কমিশন বা শক্তিশালী কমিটি গঠনের মাধ্যমে উপকারভোগী তথা তিনটি নৃ-গোষ্ঠী বিশেষ করে চাকমাদের, শিক্ষাদীক্ষা মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু হার, পানি সরবরাহ ইত্যাদি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সামাজিক সূচকসমূহ যাচাইকরত তাদের দেয় সুবিধা থেকে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাদ দিয়ে ওই সহায়তা সংখ্যায় কম এবং চাকমাদের মাধ্যমে প্রায় বঞ্চিত অপর ১১টি নৃ-গোষ্ঠীর অনুকূলে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
১০. বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং অন্যান্য কিছু শিক্ষকসহ বিশেষ শ্রেণীর একটি বিশেষজ্ঞ গ্রুপ পার্বত্য চট্টগ্রামের সব সমস্যায় পার্বত্য (শাস্তি) চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়াই একমাত্র কারণ হিসেবে প্রায়ই উপস্থাপনকরত বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম বা আলোচনা সভায় মতামত প্রকাশ করে থাকেন। বহুবিধ আলোচনায় তার অনুকূলে তারা অনেকটা জনমত তৈরিও করতে সক্ষম হচ্ছেন। অথচ এ চুক্তির বেশির ভাগ ধারা উপ-ধারা সরকার কর্তৃক কার্যকর করা সত্ত্বেও সরকারের একমাত্র চাহিদা ‘পাহাড়ে অস্ত্র সংবরণ’ যে এক-শতাংশও পালিত হচ্ছে না, বিষয়টি সেভাবে আলোচনায় আসছে না। এ প্রেক্ষাপটে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে, বিষয়টি বহুল আলোচনায় এনে, বিপরীত জনমত সৃষ্টি করে পাহাড়িদের মনস্তাত্ত্বিক দুনিয়ায় স্পর্শ করার চেষ্টা করা যেতে পারে।
১১. পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান অপারেশন উত্তরণকে, পার্বত্য চট্টগ্রাম (শান্তি) চুক্তি সম্পাদনের পূর্বে যেরূপ ছিল সেভাবে পুনঃবাস্তবায়ন করার বিষয়টি বিবেচনা করার এখনই উপযুক্ত সময়।
১২. বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে ত্রি-দেশীয় ফোরাম তৈরি করে এ অঞ্চলে সম্ভাব্য খ্রিষ্টান দেশ সৃষ্টির যেকোনো প্রয়াস অঙ্কুরে বিনষ্ট করে দেয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে।
লেখক : নিরাপত্তা গবেষক


আরো সংবাদ



premium cement