বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সত্ত্ব লিজ দেয়া হয়নি : সংসদে মোস্তফা জব্বার

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সত্ত্ব কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়নি, এটি দেশের জনগণের সম্পত্তি। সে কারণে স্যাটেলাইটের সত্ত্ব নিয়ে যেসব কোম্পানী বা ব্যক্তিবর্গের নামে লিজ দেয়ার তথ্য খবরের কাগজ বা গণমাধ্যমে আসে তা সত্য নয় বলে জানিয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

সংসদে প্রশ্নোত্তোরে বুধবার জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন।

এর আগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন- ‘বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর বের হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সত্ত্ব কেবল বেক্সিমকো ও অন্য একটি কোম্পনীর কাছে বিক্রি করা আছে। কেউ যদি এ স্যাটেলাইটের সুবিধা নিতে চান তা হলে এ দুটি কোম্পানীর কাছ থেকে কিনতে হবে’- এটি সত্যি কিনা?

জবাবে মোস্তফা জব্বার বলেন, এটি জাতীয় সম্পত্তি। কারো কাছে লিজ বা সত্ত্ব বিক্রি করা হয়নি। এটা সত্যি নয়।

ইসরাফিল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত দেশে ৫২৯৫ টি ডিজিটাল সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এ সকল সেন্টারে প্রায় ১০ হাজারের বেশী উদ্যোক্তা কাজ করছে। ২০২১ সালের মধ্যে গ্রামে গঞ্জে ২০হাজার ডিজিটাল সেন্টার তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

এসকল ডিজিটাল সেন্টারে সকলের জন্য একটি ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে একউন্ট খোলা, ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান ও আমানত গ্রহণ, বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ, পাসপোর্ট বিল গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় নানাবিধ সেবা দেয়া হচ্ছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সকল স্কুলে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে। এসকল ল্যাবে শুধু শিক্ষার্থীদের মধ্যে নয় স্কুল ছুটির পরে অন্যদেরও এ ল্যাবে শেখার সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা জব্বার বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ নিজে মোবাইল ও ল্যাপটপ বানাচ্ছে ও রপ্তানী করছে। ইতোমধ্যে উন্নত মানের মোবাইল ফোন উৎপাদনের জন্য ৬টি কারখানা চালু হয়েছে। আরো ৬টি অবিলস্বে চালু করা হচ্ছে। এখন আর মোবাইল বিদেশ থেকে আমদানী করতে হবে না। আমরা এদেশে কম্পিউটারের মাদার বোর্ড উৎপাদনের চেষ্টা করছি। তেমনি ল্যাপটপ তৈরি করার জন্য আমরা কারখানা চালু করছি। সেখানে মাদার বোর্ড তৈরি হবে।

মোস্তফা জব্বার বলেন, এছাড়া হাইটেক পার্কে অনেক সুবিধা দেয়া হচ্ছে। কেউ যদি এখানে কিছু স্থাপন করেন তাহলে তার ১০ বছরের রেয়াত দেয়া হয় এবং উৎপাদিত পণ্যের উপর ১০ শতাংশ ভর্তূকি দেয়া হয় বলে জানান তিনি।