০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভেবে দেখবেন কি?

-

বাংলাদেশের জনগণ গভীরভাবে লক্ষ করছে, গত ১০ বছরে উদ্ভূত রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের জন্য দেশপ্রেমিক নেতারা সব বিভেদ ভুলে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তাদেরই দু-একজন বিভিন্ন অজুহাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন। তন্মধ্যে মূল অজুহাতটি হলো ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ নামে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি জোটে অন্তর্ভুক্তি। এ ব্যাপারে সচেতন জনগণ বলতে চায়, যদি নবগঠিত ঐক্য সত্যিই দেশ ও জনগণের কল্যাণার্থে হয়ে থাকে, তাহলে এসব বলা কতখানি যৌক্তিক? কারণ, জামায়াতকে সাথে নিয়েই স্বাধীনতার সপক্ষের দেশপ্রেমিক নেতারা জোট বেঁধে স্বৈরাচার উৎখাত আন্দোলন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বছরের পর বছর করেছিলেন। একপর্যায়ে জামায়াতের দুুইজন নেতা তিনটি মন্ত্রণালয় সততা ও দক্ষতার সাথে চালিয়ে সফলতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। সেই সরকারেই ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তাহলে তাদের অতীত ভূমিকাগুলো কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে।
সাধারণ মানুষকে এমন ভাবা উচিত নয় যে, এরা একেবারেই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। জনগণ দেখছে, সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে যতই ঘোলাটে করা হচ্ছে, ততই এর মুনাফা যেন জামায়াতের আমলনামায় যুক্ত হচ্ছে। এটা মনে করার অবকাশ তৈরি হচ্ছে যে, আল্লাহ না করুন, যদি এ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিপর্যয় ঘটে; তাহলে আর সবাই ডানে-বাঁয়ে আশ্রয় পেলেও জামায়াতের কারো জায়গা কোথাও হবে না। সে গরজেই জীবনের বিনিময়ে হলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করেই দেশের মাটি কামড়ে তাদের পড়ে থাকতে হবে। সে নিরিখেই এখন দেশপ্রেমের সংজ্ঞা নিরূপণ হওয়া উচিত নয় কি?
কাজী মো: গোলজার হোসেন
ইসলামপুর, পায়রাবন্দ, মিঠাপুকুর, রংপুর

 


আরো সংবাদ



premium cement