২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চি ঠি প ত্র

-

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে

সালাম নিবেন, আপনার সবচেয়ে বড় পরিচয় আপনি বঙ্গবন্ধুকন্যা। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না যে, আপনার আমলে হাজার হাজার মানুষ অপমৃত্যুতে মারা যাক। আর এর ফলে আপনার স্থান ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হোক; আপনি যে অবিস্মরণীয় উন্নতি করেছেন তা ম্লান হয়ে যাক। যেকোনো সমস্যার সমাধান যা বড় হোক বা ছোট হোক, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান। তা মনখোলা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। বিএনপির সামনে কোনো পথ খোলা নেই। এটি তাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। তাই আলাপের মাধ্যমে সমাধান না হলে মহাসংঘর্ষ অবশ্যম্ভাবী। তাই ওই জেদের পথে পা বাড়াবেন না দয়া করে। তাদের সাথে বসুন দয়া করে। উপদেষ্টা পরিষদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া যেতে পারে। এতে মনে হয়, বিএনপি রাজি থাকবে। এ পরিষদে ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বদিউল আলম মজুমদার, অব: ব্রি. জে. সাখাওয়াত হোসেন, আসিফ নজরুল, তোফায়েল আহমদের মতো ব্যক্তি থাকতে পারেন। আপনি যদি একটি ভালো নির্বাচনের পথ পরিষ্কার করেন, তাহলে ইতিহাসে একটি বড় মর্যাদা পাবেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আবার আসতে পারে ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে। কারো বা কোনো দেশের পরামর্শে জেদ ধরে পড়ে থাকলে তা কারো জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না। ভোট দিয়েও পাকিস্তান অধিকার না দিয়ে কত লাখ লোক মারা গেল তা শুধু পাকিস্তানের? এবার আপনি জেদ করবেন না, দয়া করে, না হলে লাখ লাখ লোক মারা যেতে পারে। এ জন্য আপনিই কেবল দায়ী হবেন। বিএনপি এত খারাপ নয়। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হলে আওয়ামী লীগ একটি নিরাপদ প্রস্থান পাবে। বিএনপি যদি ক্ষমতায় যায় তা হলেও তারা কোনো অ্যাকশন নেবে না। কারণ আলোচনার মাধ্যমে ভোট হয়েছে। আর আপনার স্থান হবে সুমহান মর্যাদার। দয়া করে নিজেই সিদ্ধান্ত নিন, কোনো দেশের পরামর্শ নেবেন না। তদুপরি আপনার ক্ষমতায় যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। মহান আল্লাহ পাক আপনাকে সহযোগিতা করুন, দোয়া করি এবং দেশটি বাঁচুক।
আপনার শুভাকাক্সক্ষী
কতিপয় দেশপ্রেমিক নাগরিক
শরীয়তপুর।

 

বন্ধ হোক সীমান্ত হত্যা

বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে একের পর সাধারণ মানুষ বিএসএফ কর্তৃক নির্মম হত্যার শিকার হচ্ছে। সীমান্তে ঘাস কাটতে গেলে, গরু চরাতে গেলে, চোরাচালানির বদনাম দিয়ে হত্যা করছে। বিএসএফ লালমনিরহাট, পাটগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা করছে। সীমান্ত সম্মেলন, পতাকা বৈঠক এসবের কোনো মুল্যই যেন নেই। বিগত ৯ মার্চ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-টুয়েন্টি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভারতকে সীমান্ত হত্যা বন্ধের অঙ্গীকার রক্ষার অনুরোধ জানিয়েছি।’ আজ অবধি সেই অঙ্গীকার রক্ষার বিন্দুমাত্রও পূরণ হয়নি। নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে বিএসএফ। সীমান্তবর্তী জনসাধারণের প্রাণের কি মূল্য নেই?
সালেহ আফরিন বেবী
৪, বুরহান বাগ ব্রাহ্মণপাড়া
শিবগঞ্জ, সিলেট


আরো সংবাদ



premium cement