বংশে তিনিই প্রথম পেরিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি। তখনও কেউ ভাবতে পারেননি একদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি। সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখালেন শ্রমিক পরিবারের মেয়েটি। ৩৪ বছর বয়সে দায়িত্ব নিয়েছেন ফিনল্যান্ডের। শুধু ওই দেশেরই নন, সানা ম্যারিন সারা বিশ্বের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী। রাজনীতি থেকে অর্থনীতি সবকিছুতেই তুখোড় পারদর্শী তরুণ তুর্কি ম্যারিন।
তবে এতদিন গুছিয়ে রাজনীতি করার পাশাপাশি এবার দীর্ঘদিনের বন্ধুর সাথে প্রণয় সূত্রে বাঁধা পড়লেন ম্যারিন। সিঙ্গেল মাদার হিসেবে ম্যারিনের একটি ৪ বছরের মেয়েও রয়েছে। তাতে অবশ্য কোনও আপত্তি নেই ১৮ বছরের পুরোনো বন্ধু মার্কাস রাইক্কোনেনের। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এক সাথে বসবাস করছেন মার্কাস রাইক্কোনেনের সাথে। ভবিষ্যতে বিয়ের পরিকল্পনাও ছিল তাদের।
সেইমতো দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিতে শনিবার বিয়ে করেন তারা। বিশ্বজোড়া করোনা আবহে বিশেষ এই দিনটিতে মাএ ৪০ জনকে সাক্ষী রেখে তারা বিয়ে করেন। এদিন তাদের এই বিশেষ মুহূর্তের ছবি নিজের ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেছেন ম্যারিনা।
ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘অবশেষে আমরা এক হলাম।’ তিনি আরও লিখেন, ‘আমি যে মানুষটিকে ভালোবেসেছি তার সাথে আমার জীবন ভাগ করে নিতে পেরে আমি আনন্দিত এবং কৃতজ্ঞ। আমরা একসাথে দীর্ঘদিন অনেক কিছু দেখেছি এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছি।
জীবনে সুখ, দুঃখ যাবতীয় ঝড় ঝাপটে আমরা একে অপরকে সমর্থন করে এসেছি এবং দুজন দুজনের পাশে সবসময় থেকেছি। সারাজীবন এইভাবে আমার পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’
প্রসঙ্গত, ম্যারিনের শৈশব কেটেছে ভাড়াবাড়িতে। তাকে বড় করে তোলেন মা এবং মায়ের সঙ্গিনী। পারিবারিক পরিচয় দিতে শৈশবে বারবার হোঁচট খেয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন ম্যারিন নিজেই। গুটিয়ে রাখতেন নিজেকে। কিন্তু তাকে বরাবর আত্মবিশ্বাস আর সাহস জুগিয়েছেন তার জন্মদাত্রী। এখন দেশবাসীর ভরসাকে অটুট রাখার দায়িত্ব চৌত্রিশটি বসন্ত পেরোনো সানা ম্যারিনের কাঁধে।
সূত্র: কলকাতা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা