২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেয়ায় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতিকে গণপিটুনি

- প্রতীকি ছবি

বাউশিয়া এমএ আজহার উচ্চ বিদ্যালয়ে একটার পর একটা ঘটনা ঘটেই চলছে। সপ্তম শ্রেণির দুইজন শিক্ষাথীকে বক্তারকান্দি বাড়ির সামনে থেকে ছুটির পরে যাওয়ার সময় উত্যাক্ত করে। ঐ সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মহসিন দেখতে পায়। মেয়ে দুইজনকে বাড়িতে যাইতে বলে এবং ইভটিজার দুইজনকে শাসিয়ে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ টার সময়।

ইভটিজার দুইজন হলো সুমনের ছেলে সাকিব ও লিটনের ছেলে তাওহীদ। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সাকিবের ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায়, সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় গজারিয়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মহসিনকে (৩০) বক্তারকান্দি গ্রামে ইভটিজারদের বাড়ির সামনে দুই ইভটিজার ও তার মা-বাবা, ভাই বোন মিলে দুই দফা পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। পিটিয়ে গুরুতর আহত করে মটর সাইকেলটি পুলিশে খবর দিয়ে থানা হেফাজতে পাঠিয়ে দেয়। সহ-সভাপতি ও থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদ ও সাকিবের বাড়িতে অভিভাবকদের বুঝিয়ে আসতে গিয়েছিলেন। ভবিষ্যতে যাতে মেয়েদেরকে উত্যাক্ত না করে। উল্টো ইভটিজারদের হামলার শিকার হয়ে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা।

ইভটিজিংয়ের শিকার মেয়ে দুইটি জানায়, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বক্তারকান্দির সাকিব ও লিটন বিভিন্নভাবে উত্যাক্ত করতে থাকে। এখন আমরা সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি। প্রতিদিন ওদের বাড়র সামনে থেকে আমাদের স্কুলে আসতে হয় এবং ছুটির পরে বাড়িতে যেতে হয়। এই সুযোগে প্রতিদিনই আমাদেরকে রাস্তায় আটকিয়ে আজে বাজে কথা বলে। আমরা কাউকে কিছু বলিনি। বললে আবার কি না কি হয় এজন্য। সোমবার আমাদেরকে উত্যাক্ত করার সময় ছাত্রলীগ নেতা মহসিন ভাই তাদেরকে বাঁধা দেয় এবং আমাদেরকে বাড়ি চলে যেতে বলে আমরা বাড়িতে চলে আসি।

গুরুতর আহত ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মহসিন জানান, ইভটিজিংয়ের সময় আমি ঐ সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলাম। ঘটনাটি দেখে দাঁড়ালাম এবং দেখলাম চরমভাবে মেয়ে দুইজনকে বিরক্ত করছে এবং আজে বাজে কথা বলছে। পরবর্তীতে মেয়ে দুইজনকে বাড়ি চলে যেতে বলে ওদেরকে একটু শাসন করি। সাকিব ও লিটনের বাড়িতে অভিভাবকের কাছে অভিযোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে করে মহসিন ও থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ ফরাজীকে নিয়ে ওদের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাই। বাড়ির সামনে যেতে না যেতেই সাকিব, তাওহীদ ও ওদের বাড়ির সকলকে নিয়ে লাঠি সোটা ও লোহার রড নিয়ে আমার উপর হামলা করে। দুই দফা পিটিয়ে গুরতর আহত করে আমাকে। পরবর্তীতে পুলিশকে খবর দিয়ে ডাকাত বলে মটর সাইকেলটি পুলিশে সোপর্দ করে।

এই স্কুলটিতে একটির পর একটি ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে আহত করেছে। মামলা না দিয়ে স্কুলটির সভাপতি হারুন সিকদার বিচার করে ৫জনকে ২০হাজার করে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ১০০ টি জুতা প্রদানের রায় হয়। এই ঘটনার কয়েকদিনই পরেই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হারুন সিকদার নিরীহ একটি ছেলেকে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করে ইভটিজার মনে করে।

বিভিন্ন গ্রাম থেকে স্কুলটিতে পড়তে আসা মেয়েরা সব সময় ইভটিজিংয়ের স্বীকার হয়ে আসছে। কিন্তু স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হারুন সিকদারের ভূমিকায় ইভটিজারদের দৌরাত্ম আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এটি ভয়বহতা রূপ নিয়েছে।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানা ডিউটি অফিসার জানান, ঘটনার সাথে জড়িত না এমন একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলার পরেই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement